বাংলাদেশ রাষ্ট্র পাকিস্তান রাষ্ট্রের অসারতা প্রমাণ করেছে: ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল
প্রকাশ: সোমবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২১, ১০:৫৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে আমাদের অনেক অর্জন হয়েছে। এই স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরের মাথায় এসে আমাদের যে অর্জনগুলো হয়েছে সেগুলো আজ সংহত করবার সময় এসেছে। দীর্ঘ ৯ মাসের এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে বীর বাঙালি বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর। বিজয়ের সেই মাহেন্দ্রক্ষণের ৫০ বছর পেরিয়ে আসার পথে আমরা।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৫৫২তম পর্বে সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে লিভার বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়ার ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. অরবিন্দ সাহা, গৌরব ৭১ এর সাধারণ সম্পাদক এফ এম শাহীন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল বলেন, এই যে স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর, এই পঞ্চাশ বছরে আমাদের অর্জন কিন্তু অনেক হয়েছে। এই স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরের মাথায় এসে আমাদের যে অর্জনগুলো হয়েছে সেগুলো আজ সংহত করবার সময় এসেছে। আমরা এখন একটা উন্নয়নের মহাসড়কে উঠে গিয়েছি। জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে এটা আমি বিশ্বাস করি দুটি কারণে। এক হচ্ছে, বাংলাদেশের মানুষ বুঝে গেছে কোথায় তাদের মুক্তি, এই জ্ঞানটুকু আমাদের মধ্যে চলে এসেছে। আমরা যে শুধু উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে শুধু তাই নয় আমরা কোভিড মোকাবিলায় ঈর্শনীয় সাফল্য অর্জন করেছি। দক্ষ নেতৃত্বের কারণে অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হয়নি, দেশে কেউ না খেয়েও মারা যায়নি। বরং প্রবৃদ্ধি অর্জনে প্রতিবেশি দেশগুলোর চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ। আসলে আমরা একটা জায়গায় পৌঁছে গিয়েছি এবং সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে এটা যে, আগামী একশো বছর আমরা কিভাবে চলবো সেটারও একটা রূপরেখা দিয়েছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ডেল্টা প্লানের মাধ্যমে। ৭১’র ১৬ ডিসেম্বর রেসকোর্স ময়দানে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ সামরিক কমান্ডের কাছে ৯০ হাজারের বেশি পাকিস্তানি সেনার আত্মসমর্পণ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর পৃথিবীতে বৃহত্তম আত্মসমর্পণ। একই সাথে এটি পৃথিবীর ইতিহাসেও অন্যতম বৃহৎ আত্মসমর্পণ। তাছাড়া এভাবে প্রকাশ্যে নির্লজ্জ আত্মসমর্পণের উদাহরণও পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি নেই। এটি অত্যন্ত বিরল একটি ঘটনা।