প্রকাশ: সোমবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২১, ৯:৫৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সাথে ইরাকের চার্জ ডি এফেয়ার্স আব্দুল সালাম সাদ্দাম মুহাইছেন সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) তার সংসদ ভবন কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন তিনি।
সাক্ষাৎকালে তারা ইরাক-বাংলাদেশ সুদীর্ঘ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার, দুই দেশের সংসদীয় কার্যক্রম সম্পর্কে মতবিনিময় নিয়ে আলোচনা করেন।
স্পিকার বলেন, ইরাক বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু যে বন্ধুত্বের ভীত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রচনা করে গেছেন। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ৮ জুলাই ইরাক বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে ইরাকের সাথে বন্ধুত্বের গুরুত্বের বিষয়টি বঙ্গবন্ধু যথাযথভাবে উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন। এসময় দুদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নে সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ গঠনের উপর গুরুত্বারোপ করেন স্পিকার।
ইরাকের চার্জ ডি এফেয়ার্স আব্দুল সালাম সাদ্দাম মুহাইছেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের জন্মের পর থেকেই ইরাক বন্ধুপ্রতীম দেশ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইরাকের প্রেসিডেন্ট আহমেদ হাসান আল বকরের আমন্ত্রণে ১৯৭৪ সালে ইরাক সফর করেন, যা দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে জোরদার করেছিল বলে উল্লেখ করেন আব্দুল সালাম সাদ্দাম মুহাইছেন।
স্পিকার ইরাকের শততম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। আব্দুল সালাম সাদ্দাম মুহাইছেন ঢাকাস্থ ইরাক দূতাবাসের উদ্যোগে ইরাকের শততম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে স্পিকারকে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানালে তিনি তা গ্রহণ করেন। পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে উভয় দেশের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন স্পিকার।
এসময় সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।