প্রকাশ: সোমবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২১, ৬:৫০ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বাণিজ্য সংগঠন আইন-২০২১ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এর ফলে বিদেশি ব্যবসায়ীদের নিয়ে দেশে যৌথ বাণিজ্য সংগঠন তৈরি ও সব জেলায় মহিলা চেম্বার গঠনের সুযোগ তৈরি হলো।
সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) মন্ত্রিসভা বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা বৈঠকে যোগ দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, এ আইনটি ১৯৬১ সালের ট্রেড অর্গানাইজেশন অর্ডিন্যান্স রহিত করে গত দুই-তিন বছর ধরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চেষ্টা করছেন এবং বাণিজ্য সংগঠন আইন-২০২১ নিয়ে তৈরি করেছেন। এখানে ৩২টি ধারা আছে।
বাণিজ্য সংগঠনে নারী উদ্যোক্তাদের লাইসেন্সের মাধ্যমে আইনি ভিত্তির বিধান রাখা হয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক বা বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে এরূপ কোনো দেশ বা অঞ্চলে ব্যবসা শিল্প বা বাণিজ্য ও সেবাখাতে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য যৌথ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি এবং একাধিক যৌথ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সমন্বয়ে গঠিত চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি অ্যালায়েন্সের বিধান রাখা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, অন্য দেশ থেকে এসেও আমাদের দেশে বিদেশি ব্যবসায়ীরা একটি জয়েন্ট চেম্বার করতে পারবে। নারীদের জন্য আলাদা চেম্বারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তারা মূল চেম্বারের সদস্য হতে পারবে কিন্তু শুধু নারী উদ্যোক্তাদের সংগঠিত করার জন্য আলাদা চেম্বার করতে পারবে।
উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ঢাকায় ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি রয়েছে আবার মেট্রোপলিটন চেম্বার রয়েছে। মেয়েরা যেহেতু এখনো পর্যন্ত ট্রু উদ্যোক্তা হিসেবে প্রমিনেন্ট হননি সেজন্য তাদের উৎসাহিত করতে আলাদা চেম্বারের কথা বলা হয়েছে। মহিলা চেম্বারের যারা নেতৃবৃন্দ থাকবেন যেমন সভাপতি বা সেক্রেটারি মেইন চেম্বারের বোর্ডের মেম্বার থাকবেন। দে উইল বি গাইডেড বাই এফবিসিসিআই। সব জেলা মহিলা চেম্বার নেই, ৩৪টি জেলায় আছে। যেখানে হয়তো কমফোর্টেবল সিনারিও নেই সেখানে হবে না। এর জন্য একটি লাইসেন্স নিতে হবে এবং ফিও দিতে হবে। সেন্ট্রাল যে চেম্বার থাকবে তার সাথে তাদের যোগাযোগ থাকবে।