#এই মাসেই পরাধীনতার অভিশাপ থেকে মুক্তি পায় বাঙালি জাতি: এম এ লিংকন মোল্লা। #বাংলাদেশের উন্নয়নে শেখ হাসিনা বিকল্পহীন: ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদ।
প্রকাশ: রোববার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২১, ১০:২৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
আমরা অত্যন্ত সৌভাগ্যবান যে বাংলাদেশে বিজয়ের পঞ্চাশ বছর পূর্তি দেখতে পারছি। সৌভাগ্যবান আরেকটি দিক থেকে সেটি হলো যার নেতৃত্বে আমরা এই স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি সেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজকে আমরা বিজয়ের পঞ্চাশ বছর উদযাপন করছি।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৫৫১তম পর্বে রোববার (১২ ডিসেম্বর) এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ডেনমার্ক আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ লিংকন মোল্লা, সাবেক ছাত্রনেতা ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
এম এ লিংকন মোল্লা বলেন, আমি আজকে প্রায় ৩২-৩৩ বছর ধরে ডেনমার্কে আছি। আমার আগে যখন ইউরোপের বিভিন্ন জায়গায় যেতাম তখন আমাদের পরিচয় দিতে খুব লজ্জা পেতাম। কোথাও গেলে অত্যন্ত সংকিত থাকতাম যে কেউ যাতে জিজ্ঞেস না করে আমি কোথা থেকে এসেছি। কিন্তু আজ দিন পরিবর্তন হয়েছে। আজ এক বুক গর্ব করে বলতে পারি আমি বাংলাদেশি, আমি বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্নের সোনার বাঙলার মানুষ যেখানে এখন নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিজয়ের ৫০ বছরে দেশের স্বাস্থ্যসেবাখাত বিশ্বব্যাপী প্রশংসনীয় সফলতা অর্জন করেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের তুলনায় অপেক্ষাকৃত কম খরচে মৌলিক চিকিৎসা চাহিদা পূরণ, সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল, অসংক্রামক রোগসমূহের ব্যবস্থাপনা ও প্রতিরোধে ব্যাপক উদ্যোগ, পুষ্টি উন্নয়ন, স্বাস্থ্য সূচকসমূহের ব্যাপক অগ্রগতিতে স্বাস্থ্য অবকাঠামো খাতে অভূতপূর্ব অর্জন বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়েছে বহুদূর। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন মানবতার জননী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশ থেকে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা হতে যাচ্ছে যা মোটেও সহজ সাধ্য কাজ নয়। যাহা একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে সম্ভব হয়েছে। তার দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণেই পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ আজ একটি সম্মানজনক অবস্থান নিশ্চিত করার পথে দূর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। বিদেশি ঋণের উপর নির্ভরশীলতা কাটিয়ে এখন আমরা ঋণ দিতে শুরু করেছি। আজকের বাংলাদেশের এই সমুদয় অগ্রগতি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্ব ছাড়া সম্ভব হতো না। তিনি অবিকল্প। বাংলাদেশের মানুষের অপার ভালোবাসার কারণেই তিনি চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়ে দেশের মানুষের ভাগ্য বিনির্মাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন সারা বিশ্বের উন্নয়নের উদাহরণ সৃষ্টি করার মাধ্যমে বিশ্বসেরা নেতা হিসেবে বর্তমান পৃথিবীতে প্রশংসা এবং পুরস্কারে বার বার বাঙালি জাতির মাথা উঁচু করে চলেছেন। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার উদাত্ত আহ্বানে আসুন আমরা দলমত নির্বিশেষে সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী প্রজন্মের জন্য একটি উন্নত সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলি যা হবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্নপূরণের একমাত্র পথ।
ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদ বলেন, আমরা অত্যন্ত সৌভাগ্যবান যে বাংলাদেশে বিজয়ের পঞ্চাশ বছর পূর্তি দেখতে পারছি। সৌভাগ্যবান আরেকটি দিক থেকে সেটি হলো যার নেতৃত্বে আমরা এই স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি সেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজকে আমরা বিজয়ের পঞ্চাশ বছর উদযাপন করছি। আরেকদিকে আমরা দুর্ভাগ্যবান যে নেতার কারণে আমরা এই স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি সেই নেতাকে আমরা টিকিয়ে রাখতে পারেনি। সেই নেতাকে যদি আমরা টিকিয়ে রাখতে পারতাম, সেই নেতা যদি আজ বেঁচে থাকতেন তাহলে আমরা যে উন্নয়নের রোল মডেলের বাংলাদেশ বলছি এটা আমরা আরও বহু আগেই পেয়ে যেতাম। পাকিস্তানের কারাগার সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে ধ্বংসস্তূপ থেকে এদেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে একেবারে শুরু থেকে কাজ শুরু করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু ছিলেন দূরদর্শী শাসক। তাঁর অল্প কদিনের শাসনামালেই ঘুরে দাঁড়িয়েছিল বাংলাদেশ। ভাগ্য আমাদের সঙ্গে ইতিবাচক আচরণ করেনি। ফলে পঁচাত্তরের আগস্টের মর্মান্তিক করুণ পরিণতি ভোগ করতে হয়েছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত এদেশের কৃষিতে উল্লেখযোগ্য কোনো উন্নয়ন হয়নি বরং বাংলাদেশের কৃষি পিছিয়ে পড়েছিল। ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রথমবার বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসেন এবং কৃষিতে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজগুলো পুনরায় শুরু করে মাত্র পাঁচ বছরে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে জনগণের একটি প্রধানতম মৌলিক চাহিদাকে সাধারণ মানুষের দ্বারে পৌঁছে দেন। বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ ঘটেছে। জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন নীতি সংক্রান্ত কমিটি বাংলদেশকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়। যুদ্ধ যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ থেকে আজকের এই উত্তরণ, যেখানে রয়েছে এক বন্ধুর পথ পাড়ি দেওয়ার ইতিহাস। এটি সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী এবং দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে। তার সাহসী এবং গতিশীল উন্নয়ন কৌশল গ্রহণের ফলে সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কাঠামোগত রূপান্তর এবং উল্লেখযোগ্য সামাজিক অগ্রগতির মাধ্যমে বাংলাদেশকে দ্রুত উন্নয়নের পথে নিয়ে এসেছে। দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা, এমডিজি অর্জন, এসডিজি বাস্তবায়নের প্রস্তুতি সহ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, লিঙ্গসমতা, কৃষিতে ব্যাপক উন্নয়ন, দারিদ্রসীমা হ্রাস, গড় আয়ু বৃদ্ধি, রফতানিমুখী শিল্পায়ন এবং বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা, পোশাক শিল্প, ঔষধ শিল্প, রফতানি আয় বৃদ্ধিসহ নানা অর্থনৈতিক সূচক বৃদ্ধি প্রধানমন্ত্রীর দূরদৃষ্টি ও পরিশ্রমের ফসল। তাই আমি বলতে চাই জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হচ্ছেন বাংলাদেশের উন্নয়নের বিকল্পহীন অবলম্বন।