প্রকাশ: রোববার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২১, ৭:৫৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
তাবলিগ জামাতের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে সতর্কতা জারি করেছে সৌদি আরব। এরই ধারাবাহিকতায় জুমার নামাজের খুতবায় এ সংগঠন সম্পর্কে মানুষকে সতর্ক করার নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির ইসলাম বিষয়ক মন্ত্রী ডা. আব্দুললতিফ আল শেখ।
গত সোমবার (৬ ডিসেম্বর) এক টুইট বার্তায় এ নির্দেশনা জানানো হয়
তাবলিগ জামাত সম্পর্কে সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে এক ঘোষণায় বলা হয়েছে, এটি সন্ত্রাসবাদের একটি প্রবেশপথ। এদের বিপদ সম্পর্কে মানুষকে বোঝান। এদের ভুলগুলো তুলে ধরুন।
তাবলিগ জামাতের পাশাপাশি নিষিদ্ধ করা হয়েছে দাওয়া নামে আরেকটি সংগঠনকে। মন্ত্রী টুইটে জানিয়েছেন, মসজিদে ইমামদের তাদের ভাষণে উল্লেখ করা উচিত এরা কীভাবে সমাজের জন্য বিপজ্জনক। ১৯২৬ সালে দাওয়া নামের এ সংগঠনটির গঠিত হয়।
তবলিগ জামাত ও দাওয়া দুটিই সুন্নি মুসলিমদের সংগঠন। অন্যদিকে সৌদি আরবের অধিকাংশ মানুষ আহলে হাদিস মতাদর্শের অনুসারী। দুই পক্ষই ইসলামের অনুশীলন আরও বেশি শুদ্ধ করার পক্ষপাতী হলেও দুই শিবিরের মধ্যে একটি সংঘাত রয়েছে। সারা বিশ্বে তাদের ৩৫০-৪০০ মিলিয়ন অনুসারী রয়েছে বলে দাবি সংগঠনের। সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, তাদের লক্ষ্যই হলো ধর্মীয় বিষয়ের ওপর জোর দেওয়া এবং অত্যন্ত কড়াভাবে রাজনীতি এড়িয়ে চলা।
এই নিষেধাজ্ঞার ফলে তাবলিগ জামাত বিশ্বের অনেক অংশেই ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়ে যাবে। কারণ ইসলামকে ‘শুদ্ধ’ করার জন্য ভারতে শুরু হওয়া এই আন্দোলনের অর্থের মূল উৎস ছিল সৌদির দাতব্য সংস্থাগুলো। আরও কিছু দেশের সরকারও সৌদিকে অনুসরণ করে তাবলিগকে নিষিদ্ধ করতে পারে। তবে মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের মতো দেশগুলোতে তাবলিগ নিষিদ্ধ করা কঠিন হতে পারে। কারণ এসব দেশে প্রচুর তাবলিগী জনসংখ্যা রয়েছে।
ভোরের পাতা/কে