প্রকাশ: রোববার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২১, ১০:১৭ এএম | অনলাইন সংস্করণ
বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়াই ব্যবসা পরিচালনা করায় তিনটি অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ের কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই ৩ অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে হচ্ছে, ফস্টার করপোরেশন লিমিটেড, পেসেঞ্জ লিমিটেড এবং দ্য কোডেরো লিমিটেড।
জানা গেছে, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এ-সংক্রান্ত তিনটি পৃথক চিঠি সব তফসিলি ব্যাংক, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রোভাইডার ও পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডারদের (পিএসপি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। লাইসেন্সের জন্য করা আবেদন গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় ব্যাংকগুলোকে ওই তিন অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়েতে ট্রাস্ট-কাম সেটেলমেন্ট অ্যাকাউন্ট এবং পেমেন্ট সিস্টেম অপারেশন সম্পর্কিত কোনো পরিষেবা না দিতে নির্দেশনা দেয়া হয়।
একাধিক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, গেটওয়েতে আটকে গেছে শত শত কোটি টাকা। অনুমোদন না নিয়ে ব্যবসা পরিচালনাসহ অর্থ পাচারের অভিযোগও উঠেছে দু-একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, ই-পেমেন্ট গেটওয়ে বা ই-ওয়ালেট সেবা দিতে এখন পর্যন্ত নয়টি প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে পেমেন্ট সিস্টেমস অপারেটর (পিএসও) বা ই-পেমেন্ট গেটওয়ে সেবার জন্য লাইসেন্স পেয়েছে পাঁচটি প্রতিষ্ঠান। সেগুলো হলো- আইটি কনসালট্যান্টস, এসএসএল কমার্স, সূর্যমুখী লিমিটেড, প্রগতি সিস্টেম ও পর্টোনিক্স লিমিটেড। অন্য চারটি প্রতিষ্ঠানকে পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার বা ই-ওয়ালেট সেবার জন্য লাইসেন্স দেয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশে ২০১৬ সালে পেমেন্ট গেটওয়েসংক্রান্ত নীতিমালা হলেও পেমেন্ট গেটওয়ে অপারেট করা হচ্ছে ২০১১ সাল থেকে। কোনো কোনো পেমেন্ট গেটওয়ে তারও আগে থেকেই কার্যক্রম চালিয়ে আসছে।
নীতিমালা হওয়ার পর ওই সব প্রতিষ্ঠান ব্যবসা চালু রাখবে নাকি বন্ধ করে দেবে, সে বিষয়ে জানতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে আবেদন করে। বাংলাদেশ ব্যাংক তখন লাইসেন্সের জন্য আবেদন করার নির্দেশনা দিলে প্রতিষ্ঠানগুলো পেমেন্ট গেটওয়ে হিসেবে লাইসেন্স পাওয়ার জন্য আবেদন করে। লাইসেন্সিং প্রক্রিয়ার মধ্যে থেকেই ব্যবসা পরিচালনা করছে এসব প্রতিষ্ঠান।