প্রকাশ: শনিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২১, ১০:৫০ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
সত্যিকার অর্থে আমরা বিজয়ের চেতনায় উদ্ভাসিত পুরো বাংলাদেশ। জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় চেষ্টা ও প্রত্যয়ে আজকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। তাঁরই সুযোগ্য নেতৃত্বে এই বছর বিজয় মাসের প্রাক্কলে আমরা আরও একটি অর্জন অর্জিত করেছি। স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের সুপারিশ জাতিসংঘের অনুমোদন পেয়েছে।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৫৫০তম পর্বে শনিবার (১১ ডিসেম্বর) এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন, নেদারল্যান্ডস আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুরাদ খান, জার্মান আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা, বাংলাদেশ কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং লেখক মায়েদুল ইসলাম তালুকদার বাবুল। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
মায়েদুল ইসলাম তালুকদার বাবুল বলেন, ডিসেম্বর মাস আমাদের জাতির বিজয়ের মাস হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী, সামরিক বাহিনী এবং তাদের সহযোগীরা পরাজয় স্বীকার করে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। বিশ্বের বুকে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। বাঙালি জাতির হাজার বছরের ইতিহাসের সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় হচ্ছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ-স্বাধীনতা-বাংলাদেশের অভ্যুদয়। এই গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়ের মহানায়ক হচ্ছেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বিজয় দিবস বিশ্বের বুকে বাঙালির একটি অহংকারের নাম। বিশ্বের প্রতিটি জাতির জীবনে কিছু দিন আছে- যা সংশ্লিষ্ট দেশ ও জাতির মানুষের কাছে উপস্থিত হয় অন্যরকম এক অনুভূতি নিয়ে। যেসব দিনের স্মৃতি তাদের সব সময় উজ্জীবিত করে এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে প্রেরণা দেয়, শক্তি জোগায় দেশ ও জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। স্বাধীন বাংলাদেশের বয়স ৪৯ বছর হলেও আসলে সুসংঘবদ্ধ সমাজ হিসেবে আমাদের বয়স সাড়ে ৪ হাজার বছরের ওপরে। পরাধীন একটি জাতি, যাদের ইতিহাস হচ্ছে অবহেলা, বঞ্চনা আর শোষণের। এর কবর রচনা করে বাঙালি জাতিকে বিশ্বের বুকে নিজস্ব সত্তা নিয়ে ও স্বাধীনভাবে মাথা উঁচিয়ে বেঁচে থাকতে ‘বাংলাদেশ’ নামে নতুন একটি রাষ্ট্র্র দিয়ে গেছেন যে বিশাল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, তিনি অন্যকেউ নন- জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ, ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ, ২ লাখ ৭৬ হাজার মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে আমাদের এ বিজয়। যে পথ পরিক্রমায় অগ্রণী ভূমিকা ছিল তরুণদের। অন্যায়, অবিচার তথা পরাধীনতার বিরুদ্ধে লড়ে গেছেন অবিরাম। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করেছেন জনতার সাথে। গড়ে তুলেছেন মুজিব বাহিনী। ধ্বংস করেছেন হানাদার বাহিনীর একের পর এক পরিকল্পনা। কষ্টার্জিত এ বিজয় তাই আমাদের অস্তিত্ব, এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা। বর্তমান প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে পড়ুক সে চেতনা বা দেশাত্মবোধ-এটাই চির প্রত্যাশা।