র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাবের) তত্ত্বাবধানে ৪২১ জন জলদস্যু ও জঙ্গি আত্মসমর্পণ ও পুনর্বাসন করা হয়েছে, যা বিশ্ব নজীরবিহীন বলে উল্লেখ করেছেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক খন্দকার আল মঈন।
মাত্র ৯ হাজার ফোর্সের র্যাব জঙ্গি ও দস্যুদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে যে মানবিকতা দেখিয়েছে পৃথিবীতে অন্য কোনো বাহিনীর এমন নজির নেই বলেও জানান তিনি।
শনিবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর কারওয়ানবাজারে সংবাদ ব্রিফিংয়ে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে বাহিনীর মুখপাত্র এই তথ্য জানান।
খন্দকার আল মঈন বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এই ফোর্সের লে. কর্নেল আজাদসহ ২৮ জন সদস্য জীবন দিয়েছেন। এক হাজারের মত সদস্য পঙ্গু হয়েছেন। দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ভবিষ্যতেও র্যাব জীবন দিয়ে কাজ করবে।
র্যাবের বর্তমান ও সাবেক ৬ কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নেরর র্যাব মুখপাত্র বলেন, এই বিষয়ে আমরা অফিসিয়ালি কোনো চিঠি পাইনি। বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদে জানতে পেরেছি।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, র্যাব কখনও মানবাধিকার লঙ্গন করেনি, বরং রক্ষা করেছে। বিভিন্ন সময় অভিযান পরিচালনা করে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ দমন করা হয়েছে। সুন্দরবন দস্যুমুক্ত হয়েছে। সুন্দরবনের ৩৬টি দস্যু বাহিনীর ৩২৬ জন দস্যু আত্মসমর্পণ করেছে। তাদের সুস্থ জীবন দেয়া হয়েছে।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক বলেন, জঙ্গি ও দস্যুসসহ ৪২১ জনকে র্যাব সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে এনেছে, আমার জানা নেই বিশ্বে আর কোনো বাহিনী আছে কিনা যারা এমন মানবিকতা দেখিয়েছে।
ক্রসফায়ার ও প্রতিটি ঘটনার তদন্ত বিষয়ে র্যাব কর্মকর্তা মঈন বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যখন অভিযানে যায়, তখন সন্ত্রাসীদের বাধার মুখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে গুলিবিনিময়ের অধিকার আইন দিয়েছে। মাদক, জঙ্গি দমনের অভিযানে আমরা যখন প্রতিরোধের মুখে পড়েছি তখনই গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। র্যাব আত্মরক্ষার্থে গুলি করেছে।
প্রতিটি গুলি বিনিময়ের ঘটনার নির্বাহী তদন্ত হয়। তারা দেখেন গুলি বিনিময় যথাযথ ছিল কিনা। যারা আইন ভঙ্গ করে, নিয়ম ভঙ্গ করে, তাদের বিরুদ্ধে র্যাব সবসময় কঠোর ব্যবস্থা নেয় বলেও জানান এই কর্মকর্তা।