আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ২০১৫ সালে পাকিস্তানকে পিছনে ফেলে বাংলাদেশ সকল ক্ষেত্রে এগিয়ে গেছে। তাই পাকিস্তান এখন বাংলাদেশকে অনুসরণ করে এবং প্রশংসা করে।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে জনসংযোগ সমিতি আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ আজ বহুদূর এগিয়ে গেছে। বাংলাদেশ এখন আর খাদ্য ঘাটতির দেশ নয়, খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশ। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের সার্থকতা এখানেই- পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশ সকল কিছুতে এগিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, ২০১৫ সালে পাকিস্তানকে পিছনে ফেলে বাংলাদেশ সকল ক্ষেত্রে এগিয়ে গেছে। তাই পাকিস্তান এখন বাংলাদেশকে অনুসরণ করে। বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি দেখে তারা দীর্ঘশ্বাস ফেলে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এটাই আমাদের সার্থকতা।
‘তাদের দেশের (পাকিস্তান) টেলিভিশনের টকশোতেও বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করা হয়। অথচ ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যখন বাংলাদেশ স্বাধীন হয় তখন সকল ক্ষেত্রে আমরা পাকিস্তান থেকে পিছিয়ে ছিলাম।’
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা ভারতকেও সামাজিক অর্থনৈতিক সূচকে পিছনে ফেলেছি।সাম্প্রতিক সময়ও ভারতকে পিছনে ফেলে বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে। মাথাপিছু আয়ের ক্ষেত্রে ভারতকে বাংলাদেশ ছাড়িয়ে গিয়েছে। আজ বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় যা দাঁড়িয়েছে তা অভাবনীয়।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, দেশের এতো উন্নয়ন অর্জনের পরেও একটি গোষ্ঠী বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দেশের মধ্যে ও বাইরে থেকে অপপ্রচারে লিপ্ত। সামাজিক মাধ্যমে একজন বিএনপি নেতার কথোপকথনে দেখা গেছে- তিনি কীভাবে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার দিয়েছেন! বাংলাদেশকে নিয়ে বিশ্বের বড় বড় দেশ ও জাতিসংঘ প্রশংসা করলেও বিএনপি নেতাকর্মীরা সারাক্ষণ অপপ্রচারে লিপ্ত।
গণসংযোগ কর্মকর্তাদের উদ্দ্যেশ্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, যেহেতু আপনারা গণসংযোগ কর্মকর্তা তাই দেশের বিরুদ্ধে যেন অপপ্রচার না হয় সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের দেশে প্রায় সাড়ে আট কোটি মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে। সে ক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন প্রচার মাধ্যম, তেমনি অপপ্রচারের জন্যও বড় ক্ষেত্র। এসব দিকের নজর রাখতে হবে।
বাংলাদেশ জনসংযোগ সমিতির সভাপতি মোস্তফা- ই - জামিল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খানসহ আরো অনেকে।