৯০-এর দশকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নেতা হারুনুর রশিদকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রাজনীতিতে নিয়ে আসেন জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রয়াত অ্যাডভোকেট সুলতানুল ইসলাম মনি। সে সময় চাঁপাইনবাবগঞ্জের মানুষ তাকে স্বাগত জানায়। ১৯৯৬ সালে তিনি সদর আসনের এমপি নির্বাচিত হন। সেই থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ বিএনপিতে হারুন যুগের সূচনা হয়। টানা ২৫ বছর পর হারুন যুগের অবসানে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন বিএনপির ত্যাগী নেতারা।
জানা যায়, হারুনুর রশিদ গত ২৫ বছর চাঁপাইনবাবগঞ্জে একক আধিপত্যে দল পরিচালনা করেছেন। এমপি, পৌর মেয়র, দলের সভাপতি-সম্পাদক যখন যা চেয়েছেন সেটাই আদায় করেছেন হারুন। নিজে পদ নিয়েছেন এবং অন্যকে পদ দিয়েছেন। এক কথায়, দলে হারুনুর রশিদ ছিলেন অপ্রতিরোধ্য নেতা। কিন্তু হঠাৎ করেই কমিটি গঠনের ঘোষণায় হারুন ও অনুসারীর আধিপত্যে ধস নেমেছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর আসনের এমপি বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব হারুনুর রশিদের অনুসারীদের বাদ দিয়ে গত বুধবার জেলা বিএনপির নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় কমিটি। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম জাকারিয়াকে আহ্বায়ক এবং রফিকুল ইসলামকে (চাইনিজ রফিক) সদস্য সচিব করে তিন সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত ওই কমিটির তালিকা বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রকাশ করা হয়। কমিটিতে যুগ্ম-আহ্বায়ক করা হয়েছে জেলা বিএনপির সদ্য সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম টিপুকে।
দলীয় সূত্র জানায়, ২০১৭ সালে অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম টিপুকে সভাপতি ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের এমপি মো. আমিনুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করে একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা হয়। নতুন কমিটি গঠনের পরই এমপি হারুনের অনুসারী ৭২ জন পদত্যাগ করেন। ফলে নিষ্প্রাণ হয়ে যায় জেলা বিএনপি।
বিএনপির নেতারা বলছেন, দীর্ঘ আড়াই দশক পর সদর আসনের এমপি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হারুনুর রশিদের আধিপত্যের অবসান ঘটছে।