প্রকাশ: শনিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২১, ১:৩০ পিএম আপডেট: ১১.১২.২০২১ ১:৩৯ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে নৌকা ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনায় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ইয়াসিন আলম (৪০) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও ১২ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
শনিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে পাবনা সদর উপজেলার ভাঁড়ারা ইউনিয়নের চারা বটতলার ইন্দারা মোড় কালুরপাগা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- কলেজ শিক্ষার্থী ভাড়ারা গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে রিয়াদ হোসেন (২২), ভাড়ারা গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে তুহিন আহমেদ (২৩), আব্দুর রহিম (৩৩), হোসেন আলী (৫০), রুবেল (৩০), নলদহ গ্রামের হিরা শেখের ছেলে আল্রেক শেখ (৪০), জসিম উদ্দিন (৩৫), আবু তালেব (৩২), তুহিন হোসেন (২৭), আব্দুল্লাহ (৩৫), লালু শেখ (৩৩), মোস্তফা (৪০) এবং আল আমিন (২৮)। বাকিদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, সকালে বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী (ঘোড়া মার্কা) সুলতান মাহমুদের ১৫-২০ জন সমর্থক নির্বাচনী প্রচারণায় বের হন। এ সময় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আবু সাঈদ খানের লোকজনের সঙ্গে ব্যাপক গোলাগুলি হয়। এতে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ইয়াসিন আলীসহ দুই পক্ষের অন্তত ২৫ জন গুরুতর আহত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে ছয়জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, ভাড়ারা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। অন্তত ৮-১০ জন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। কয়েকজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে একজন মারা গেছেন। এ ঘটনায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ভোরের পাতা/কে