শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান।
সাদ শ্যাম রহমান তার অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, ইভ্যালিতে ৩ লক্ষ ১৮ হাজার টাকার একটি মটরসাইকেল অর্ডার দিয়েছিলেন তিনি। এখনও সেই মটরসাইকেল কিংবা অর্থ কিছুই ফেরত পাননি তিনি। এই সংস্থার প্রচারমুখ হয়ে কাজ করেছেন তাহসান, মিথিলা, ফারিয়া। ওই গ্রাহকের দাবি, ইভ্যালির সঙ্গে হাত মিলিয়ে তারাও এই প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত। তাই এরাও অপরাধী এবং শাস্তির যোগ্য।
এ বিষয়ে জনপ্রিয় গায়ক তাহসান বলেন, মামলার বিষয়ে জেনেছেন তিনি। এ বিষয়টি নিয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে কথাও বলছেন তিনি। প্রচারক কখনো প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক দায়ভার নেবেন না। সারাবিশ্বে লাখ লাখ প্রতিষ্ঠানের লাখ ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর রয়েছে। তারা তো ওইসব কম্পানির সমস্ত দায়ভার নিয়ে বসে নেই। কোম্পানির যখন সমস্যা দেখা যাবে তখন সরে আসবে। প্রচারণার দায়িত্ব পালন করা কোনোভাবেই অপরাধী হতে পারে না।
ক্ষোভ প্রকাশ করে এই গায়ক বলেন, গত ৭ মাস ধরে তিনি মানসিক ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আর কিছু পত্রিকার চটকদার শিরোনাম দেখে অবাক হয়েছেন তিনি। মামলা হয়েছে ৪ ডিসেম্বর। বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে এই তথ্য প্রকাশ হলো কেন? এর পেছনে কোনো উদ্দেশ্য আছে কি না তা জানেন না তিনি । তাই তিনিও মানহানির মামলা করবেন।
তাহসান আরও বলেন, যে কোনো মুহূর্তে গ্রেপ্তার বা নজরদারিতে বলতে কী বোঝায়? হ্যাঁ যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয় তাদের তো একটা নজরে রাখতেই হয়। তাই বলে যে কোনো চটকদার মুখরোচক শিরোনাম করে কাটতি বাড়ানোর কোনো অর্থ হয় না। যা হবে আইনগতভাবে হবে। একটা মামলা হয়েছে সেটার তদন্ত চলছে। তদন্ত করে যদি আমাদের দোষ না পাওয়া যায় তাহলে আমাদের তো কোনো সমস্যা হবে না। আর তদন্ত করে পেলে তখন যেটা আইনত হবে তাই হবে।
শবনম ফারিয়া বলেন, এসব করা হচ্ছে মূলত আমাকে হয়রানি করার জন্য। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করলে কোনো সম্পৃক্ততা খুঁজে পাবে না আশা করি। মামলায় আমার বিরুদ্ধে যেসব অপরাধ দেখানো হয়েছে সেগুলোর সঙ্গে আমার কোনো মিল নেই। আর আমি এখনো ইভ্যালি থেকে এক টাকাও পাইনি। যেসব অভিযোগ করেছে সেগুলোর সঙ্গে আমি কোনোভাবেই সম্পৃক্ত না। আমি কখনো প্রমোশন করিনি। আমি প্রমোশনের জন্য অনেক টাকা নেই। বেতনের টাকা নিয়ে আমি প্রমোশন করব না সেটা চাকরি নেওয়ার আগেই বলেছিলাম।
তিনি আরও বলেন, আমি ফেসবুকে কোনো রকম পোস্ট শেয়ার করিনি ইভ্যালি নিয়ে। সেখানে যোগ দেওয়ার পরই তাদের ঝামেলা শুরু হয়ে যায়। আমি কোনো কাজই করতে পারিনি তাদের সঙ্গে। যে মাসে ইভ্যালিতে জয়েন করি সেই মাস থেকেই ইভ্যালির যে পেমেন্টের পয়েন্ট ছিল তা ৭ দিন পরই বন্ধ হয়ে গেছে। তাই আমার কোনো অপরাধ আছে বলে মনে হচ্ছে না।
ভোরের পাতা/কে