বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪ ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে সুইজারল্যান্ড বানানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন: তাজুল ইসলাম   ইংরেজি নববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা   করোনায় মৃত্যু কমেছে, শনাক্ত বেড়েছে    আরও ৩ জনের ওমিক্রন শনাক্ত   শপথ নিলেন নতুন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী   বাস সরাতে গিয়ে দুই মৃত্যু: সেই পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা   আন্দোলনের বিকল্প নেই, ফয়সালা রাজপথেই হবে: ফখরুল   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
পরাজিত হয়ে মসজিদ ভেঙে দিলেন ইউপি চেয়ারম্যান
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রকাশ: শুক্রবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২১, ৮:৩৩ পিএম আপডেট: ১০.১২.২০২১ ৮:৪৩ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

ইউপি নির্বাচনে পরাজিত হয়ে তিন বছর আগে নির্মিত টিনশেডের একটি মসজিদ ভেঙে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।

টাঙ্গাইলের সখীপুরের বহুরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া সেলিমের নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর ইউনিয়ন কমপ্লেক্সের জমিতে টিনের তৈরি একটি মসজিদ ভেঙে নিয়ে গেছেন চেয়ারম্যান। 

গত ১১ নভেম্বর ওই ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া সেলিম পরাজিত হন। এতে বিজয়ী হন বিদ্রোহী প্রার্থী নুরে আলম মুক্তা। গোলাম কিবরিয়া সেলিম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কুতুব উদ্দিনের ছেলে।

নির্বাচনে পরাজিত হয়ে মসজিদ ভেঙে নেওয়ার ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।

স্থানীয়রা জানান, ২০১৬ সালে উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে গোলাম কিবরিয়া সেলিম নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালের দিকে ওই ইউনিয়ন কমপ্লেক্সের জমিতে টিন দিয়ে একটি মসজিদ তৈরি করেন চেয়ারম্যান। গত ১১ নভেম্বর নির্বাচনে তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী নুরে আলম মুক্তার কাছে হেরে যান। হেরে যাওয়ার ক্ষোভে গত মঙ্গলবার তিনি টিনের তৈরি মসজিদটি ভেঙে ট্রাকে করে নিয়ে যান বলে অভিযোগ করেন গ্রামবাসী।

নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান নুরে আলম বলেন, বিজয়ী হওয়ার পর আমি এখনো শপথ নেইনি। ইউনিয়ন কমপ্লেক্সের ওয়াকফ করা জমিতে যেহেতু এ মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছিল অতএব ওই মসজিদ ভেঙে নেওয়ার অধিকার ওই চেয়ারম্যান সাহেবের নেই। আমরা ওই স্থানে একটি পাকা মসজিদ নির্মাণ করব।

জানতে চাইলে গোলাম কিবরিয়া সেলিম বলেন, আমার খালাতো ভাই ইব্রাহিম হোসেনের ব্যক্তিগত টাকায় ওই নামাজখানাটি টিন দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল। গত কয়েক মাস ধরে ওই স্থানে কেউ নামাজ আদায় করছেন না। খালাতো ভাইয়ের অনুমতি নিয়েই ওই নামাজখানাটি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

উপজেলা ইমাম সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফ বলেন, নামাজখানা হলেও তিনি তা ভেঙে নিয়ে যেতে পারেন না। কাজটি তিনি ভালো করেননি। এ ধরনের কাজ ইসলাম সমর্থন করে না।



ভোরের পাতা/কে 



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]