এসবের মধ্যে মুরাদের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া না গেলেও মঙ্গলবার দুপুরে এক ফেইসবুক পোস্টে ক্ষমা চেয়ে তিনি লিখেছিলেন, “আমি যদি কোন ভুল করে থাকি অথবা আমার কথায় মা-বোনদের মনে কষ্ট দিয়ে থাকি, তাহলে আমাকে ক্ষমা করে দিবেন।”
এরপর বুধবার বিকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেইসবুক পাতায় আরেক পোস্টে তিনি লেখেন,“মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, পরম শ্রদ্ধেয় মমতাময়ী মা,বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা, আমি যে ভুল করেছি তা আল্লাহর ওয়াস্তে আমাকে মাফ করে দিবেন। আপনি যে সিদ্ধান্ত দিবেন তা আমি সবসময়ই মাথা পেতে নিবো আমার বাবার মতো।”
তুমুল সমালোচনা শুরুর পর সোমবার ঢাকায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও সেখানে যাননি মুরাদ। তখন থেকে সচিবালয়েও অনুপস্থিত ছিলেন তিনি।
সোমবার চট্টগ্রামের একটি পাঁচতারকা হোটেলে তিনি অবস্থান করেছিলেন বলে গণমাধ্যমের খবর আসে। তবে রাতেই তিনি ওই হোটেল ছাড়েন।
এই পুরোটা সময় তার টেলিফোনও বন্ধ ছিল।
এদিকে পদত্যাগের পর মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগকর্মীদের নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্যের অভিযোগে মুরাদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় অভিযোগ করেন এক ছাত্রলীগ নেতা।
তার ওই অভিযোগ জিডি হিসেবে নিয়ে তার তদন্ত শুরুর কথা বুধবার জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ কমিশনার হারুন অর রশিদ।
তবে মুরাদকে নিয়ে প্রশ্নে বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল সাংবাদিকদের বলেন, “এগুলো (মুরাদের বিদেশ যাওয়ার খবর) আমার জানা নেই। উনি বিদেশ যাবেন, নাকি স্বদেশে থাকবেন, সেটা তার ব্যাপার। এ ব্যাপারে আমাদের কিছু বলার নেই।”