সিরডাপ আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের সিরডাপ আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের ড. দূর্গা প্রসাদ পোডিয়াল কনফারেন্স হলে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। অনুষ্ঠানে সম্মানীয় অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন শহীদ পরিবারের সদস্য আরমা দত্ত এমপি এবং নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আলী শিকদার (অব.)।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, 'বাংলাদেশ ও ভারত- এই ২টি প্রতিবেশী দেশের সম্পর্কের রসায়নটি একেবারেই ভিন্ন। ভারত স্বাধীন হয়েছে ১৯৪৭ সালে। বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জন করেছে স্বাধীনতা। বাংলাদেশের সেই মহত্তম অর্জনে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল ভারত। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। ইতিহাস, সংস্কৃতি, ভাষা, ঐতিহ্য, শিল্পকলা ও সংস্কৃতিতে মিল রয়েছে। এই সম্পর্ককে রক্তের বন্ধনে বেঁধে দেয় ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ। ভারতের সরকার ও জনগণ বাংলাদেশের স্বাধীনতার লড়াইয়ে অকুণ্ঠ সমর্থন দেয়।'
আলোচকরা উল্লেখ করেন,'মুক্তিযুদ্ধে ভারত আমাদের দেশের ১ কোটি মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে। খাদ্য সহায়তা দিয়েছে। দেশের মুক্তিযোদ্ধারা ভারতের বিভিন্ন এলাকায় প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। দেশের অভ্যন্তরে যুদ্ধ করে আবার আশ্রয় নিয়েছেন ভারতের অভ্যন্তরে।'
বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কের বন্ধন আরো দৃঢ় হবে— এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করে আলোচকরা বলেন, 'মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ভারত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিতে যেমন দেরি করেনি, তেমনি মুক্তিযুদ্ধোত্তর বাংলাদেশের আত্মমর্যাদা ও স্বাধীন সত্তাকেও স্বীকার করে নিয়েছে। এর ফলে গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ ও অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক কাঠামোর বাংলাদেশ তার আঞ্চলিক সহযাত্রী হিসেবে পায় গণতান্ত্রিক ও বন্ধুভাবাপন্ন ভারতকে। সম্প্রীতির সেই ধারা আজও বহমান।'
সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে আলোচনা সভার সঞ্চালনা করেন সম্প্রীতি বাংলাদেশের সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল।