প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২১, ৭:৩৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, মহামারি করোনভাইরাসের সংক্রমণ রোধে টিকার বুস্টার ডোজের প্রয়োগে অ্যাপ আপডেট ও তালিকা তৈরির কাজ শিগগিরই শেষ হবে। এরপরই শুরু হবে বুস্টার ডোজ প্রয়োগ।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে প্রধান অথিতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমাদের স্কুল কলেজ খুলেছে। আমি বুঝতে পারি না যার পিছনে যে কঠিন পরিশ্রম লোকজনে করছে। অনেক চেষ্টার ফলে আজকে আমরা স্বাভাবিক জীবন-যাপন করছি এটা বারবার ভুলে যাই। আমরা যখন কষ্টে পড়ি, তখন সমালোচনা করি। কিন্তু সমালোচনা করা প্রয়োজন সেটা গঠনমূলক সমালোচনা। আপনি একটা লোককে বিচার করবেন সে কি বলল, এটা বড় কথা না সে কি করল সেটা বড় কথা।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যেসব ডাক্তার চোখের সেবা দিয়ে থাকেন তারা এখানে উপস্থিত আছেন। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বড ডাক্তার তারা এখানে আছে। আমাদের সার্ভেটা খুবই প্রয়োজন এর মাধ্যমে আমরা জানতে পারি কতগুলো লোক এখানে অন্ধত্ববরণ করেছে। আমরা জানতে পারলাম যে বাংলাদেশের সাড়ে ৭ লাখ অন্ধ আছে। আরও জানতে পারি কিভাবে অন্ধত্ববরণ করেন। আমরা কারণা জানলে সেটি রোধ করার ব্যবস্থা সম্পর্কেও জানতে পারব।
জাহিদ মালেক বলেন, সার্ভে রিপোর্টে আমরা শুনলাম খুবই ভালো একটা রেজাল্ট। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের সকল ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে। বিদ্যুতে, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ লেখাপড়ায় অনেক এগিয়ে গেছে আমাদের আইটি সেক্টর উন্নত হয়েছে হয়েছে, রপ্তানি বেড়েছে।
মন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য খাতে বিপুল পরিমাণ উন্নত হয়েছে আমরা বুঝতে পারি না। যখন করোনা হলো তখন সব বন্ধ ছিল কিন্তু তখন মানুষ কি করেছে, চিকিৎসা কোথায় নিয়েছে। দেশের ১৭ কোটি লোকের চিকিৎসা হচ্ছে অর্থাৎ সব ক্ষেত্রে চিকিৎসা অনেক উন্নয়ন হয়েছে। চিকিৎসা ব্যবস্থা একটা ব্যাপক এটা অন্যান্য জিনিসের সাথে তুলনা করলে ভুল হবে। এই মন্ত্রণালয়ের কাজগুলোকে একটি সমুদ্রের মতো সেই কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে শুরু হয় এবং ইউনিভার্সিটি পর্যন্ত আমাদের কাজ চলে। কাজে বিরাট একটা এরিয়াতে কাজ চলে যা মানুষ ধারণাই করতে পারে না। সরকারিভাবে তিন লাখ আর বেসরকারিভাবে আরও পাঁচ লাখ লোক কাজ করে।
তিনি বলেন, সার্ভে রেজাল্ট খুব ভালো এসেছে। বাংলাদেশে ৩৫ শতাংশ অন্ধত্ব কমেছে, এটা একটা বিরাট পাওয়া। আমার একটা হিসাব করলাম বসে যে এক লাখ ১৬ হাজার কম ব্যক্তি অন্ধত্ববরণ করেছে।