ওমিক্রন ডেল্টার থেকেও মাইল্ডার: ড. বিজন শীল
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২১, ৮:৫২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
অণুজীববিজ্ঞানী ও সাভারের গণবিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. বিজন কুমার শীল বলেছেন, এই মুহূর্তে ডেল্টার মত আতঙ্কিত অবস্থায় যায়নি ওমিক্রন। এই মুহূর্তে যে তথ্য উপাত্ত দেখছি ওমিক্রন ডেল্টার থেকেও মাইল্ডার। তবে এটাই শেষ নয়, ভাইরাসটি আরো খারাপ রুপ নিতে পারে। ওমিক্রন মিউটেশনের মাধ্যমে স্টাবিলাইজড হবে। যখনি ভাইরাসটি আফ্রিকা থেকে বাইরে আসবে, তখনি সে আরো স্টাবল হতে পারে।
মঙ্গলবার (০৭ ডিসেম্বর) দুপুরে ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে অনুষ্ঠিত ‘কোভিড-১৯, ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন, ডেলটা, ওমিক্রন- বিজ্ঞান, নৈতিকতা, বৈষম্য’ বিষয়ে এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজন কুমার শীল বলেন, ওমিক্রনকে ভয়ংকর ভাবার কারণ ভাইরাসটির মিউটেশন। এখন পর্যন্ত ডেল্টা ধরনের সর্বোচ্চ ১৫ বার মিউটেশন হয়েছে। সেখানে ওমিক্রনের মিউটেশন হয়েছে ৫০টি। এরমধ্যে ৩২টি মিউটেশন হয়েছে স্পাইক প্রোটিন। যে প্রোটিন দিয়ে সে মানুষকে খুব দ্রুত সময়ে সংক্রমিত করে এবং এই প্রোটিনের মাধ্যমে ভ্যাকসিন তৈরি করা হয়।
তিনি বলেন, এই যে ব্যাপক পরিবর্তনের ফলে আমরা মনে করতে পারি ওমিক্রন ধরণের ইনফেক্টিভিটি বাড়তে পারে এবং ভ্যাকসিনের কার্যকারীতা কমতে পারে। এ দুটো একত্রে করে মনে করা হচ্ছে হয়তো ওমিক্রন ডেল্টার চেয়েও ভয়ংকর হতে পারে।
অণুজীববিজ্ঞানী বলেন, ফিউরিন নামক একটি প্রোটিন পুরো ভাইরাসের বৈশিষ্ট্যকে অনেকাংশে নির্ধারণ করে। ফিউরিন একটিভ এরিয়া যা সার্সকোভ-১ এ ছিলো না, সার্সকোভ-২ তে আছে। যার ফলে সার্সকোভ-১ থেকে সার্সকোভ-২ বেশি ভয়ংকর। এখন যদি ওমিক্রন পিউরিন ভাইরাসকে মেনুপুলেট করতে পারে, যেমনটা ডেল্টা ভাইরাস করেছিলো, এখনো ওমিক্রনের মেনুপুলেট আলফা ভাইরাসের মতোই রয়েছে।
তিনি বলেন, এখন ওমিক্রন যদি সেখানে আরো কিছু পরিবর্তন ঘটাতে পারে তাহলে অবশ্যই এটা ভয়ংকর হতে পারে। আমার যেটা ধারণা ওমিক্রনে অধিকঅমাত্রায় যে মনসটার মিউটেশন হয়েছে, এটাই ভয়ের কারণ। এটা অনেক দ্রুত সংক্রমণ ঘটাতে পারে।