প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২১, ৮:৩৯ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
একযুগ পেরিয়ে গেলেও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাককানইবি) রাস্তা গুলোর আশানুরূপ কোন উন্নতি চোখে পরে না।
বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় গেইট থেকে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে প্রবেশের রাস্তাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি রাস্তা। গুরত্বপূর্ণ এই রাস্তাটিতেও বেহাল দশা বিরাজ করছে।
এতে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ব্যবহারকারীদের, চলতি পথে ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনাও।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের সামনের সড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কটির বিভিন্ন স্থানে পানি জমে যায়। আবার ব্যস্ততম এই সড়কে পর্যাপ্ত সড়ক বাতি না থাকায় রাতের বেলা রিকশাচারী, সাইকেল আরোহী কিংবা সাধারণ পথচারী সবারই চলতে কষ্ট হয়। অনেক সময় ছোটখাটো দুর্ঘটনাও ঘটে। সড়কটিতে ইটের ভাঙা টুকরো দিয়ে গর্ত পূরণের চেষ্টা করা হয়েছে। তবে তাতে পথচারীদের দুর্ভোগ কমেনি।
অগ্নিবীণা হল হয়ে বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যের পাশ ঘেঁষে বঙ্গবন্ধু হল ও সামাজিক বিজ্ঞান, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদে যাওয়ার রাস্তাটিও চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরছে।
এ প্রসঙ্গে উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদ হাসান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয় একযুগ পেরিয়ে গেছে অথচ রাস্তাঘাটের অবকাঠামোগত কোন উন্নয়ন চোখে পরার মত না। রাস্তা গুলো অন্তত পক্ষে যেন দ্রুত মেরামত করা হয় প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
আইন ও বিচার বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী মোরসালিন রহমান শিখর বলেন, ১৫ বছর বয়স্ক একটি বিশ্ববিদ্যালয়! আদৌ কি ১৫ বছর বয়স্ক!? ভিসি-ট্রেজারারের মতো রাজনৈতিক(প্রশাসন) পদে আসীন লোকেদের দোহাই দিয়ে আর কতদিন!? প্রশাসনিক পদে আরও কত রাঘব বোয়াল আছেন যারা এমন কতশত উন্নতির পথে নীরবে নিভৃতে বাঁধা হয়ে ছায়ামূর্তির মত দাঁড়িয়ে আছেন সেটা উপরমহলই জানেন! যাইহোক, জনাব উপরমহল আপনাদের হায়া'র পরিধি প্রসারিত করা উচিত!!!
অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী শাহীন আলম বলেন, একটু বৃষ্টি পড়লেই রাস্তা গুলোর অবস্থা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এতে আমাদের ক্যাম্পাসে চলাচলে দুর্ভোগে পরতে হয়। নানান দূর্ঘটনারও সম্মুখীন হতে হয় আমাদের। তাই এটা থেকে আমরা দ্রুত পরিত্রাণ চাই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশলী মো. হাফিজুর রহমান জানান, এই রাস্তা টি অন্যতম একটি ব্যস্ত রাস্তা। রাস্তাটি আরসিসি করে করা হবে। তাই আমাদের আরসিসি করতে একটু সময় লাগবে।