প্রকাশ: সোমবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২১, ৮:২৮ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
এবার সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে সিলেটের গোলাপগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেলকে।
সোমবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। গত পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন রাবেল।
জানা গেছে, সম্প্রতি আমিনুল ইসলাম রাবেল যুক্তরাজ্য সফরে যান। সেখানে অবস্থানকালে ‘গ্রেটার সিলেট ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল’ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি বক্তৃতা দিতে গিয়ে বলেছিলেন, ‘আমরা মন্ত্রণালয়ে যাই। সচিবালয়ে সচিবদের সঙ্গে মিটিং করি, এলজিইডি মিনিস্টারের সঙ্গে মিটিং করি। তাদের কাছ থেকেই আমাদের ফান্ড আনতে হয়। ওখানে বিরাট একটা পার্সেন্টিজ দিয়ে আনতে হয়। আপনি ১০০ কোটি টাকার ফান্ড নিয়ে আসলেন। সেখানে ৫ পার্সেন্ট আগেই দিয়ে আসতে হয়।’
এছাড়াও তিনি সরকারবিরোধী আরও কথাবার্তা বলেন। তার এই বক্তব্যের ভিডিও ভাইরাল হলে সমালোচনার মুখে পড়েন রাবেল। এ ঘটনার জের ধরেই রাবেলকে মেয়র পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মদ ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘আমিনুল ইসলাম রাবেল ছুটি নিয়ে বিদেশে গিয়ে গ্রেটার সিলেট ডেভেলপমেন্ট ফোরাম আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ সরকার, স্থানীয় সরকার বিভাগ ও রাষ্ট্রের জন্য হানিকর বক্তব্য দিয়েছেন। তার এ ধরনের জনহানিকর বক্তব্য স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩২ এর (খ) ও (ঘ) এর অপরাধে মেয়রের পদ থেকে অপসারণযোগ্য অপরাধ। যেহেতু আইন মোতাবেক যেক্ষেত্রে কোনো পৌরসভার মেয়র অথবা কোনো কাউন্সিলর অপসারণের কার্যক্রম আরম্ভ করা হয়েছে অথবা তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলায় অভিযোগপত্র আদালত থেকে গ্রহণ করা হয়েছে, সেক্ষেত্রে নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের বিবেচনায় মেয়র অথবা কাউন্সিলর কর্তৃক ক্ষমতা প্রয়োগ পৌরসভার স্বার্থের পরিপন্থী অথবা প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমীচীন না হলে, সরকার লিখিত আদেশের মাধ্যমে মেয়র অথবা কাউন্সিলরকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করতে পারবে। যেহেতু আমিনুল ইসলাম রাবেল স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩২ উপ-ধারা ১(খ) ও ১(খ) মোতাবেক বাংলাদেশ সরকার এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের বিরুদ্ধে হানিকর ও জনহানিকর বক্তব্য দেওয়ায় তার এ অপরাধমূলক কার্যক্রম পৌর পরিষদসহ জনস্বার্থের পরিপন্থী মর্মে সরকার মনে করে, সেহেতু স্থানীয় সরকার আইন অনুযায়ী তাকে গোলাপগঞ্জ পৌরসভার মেয়রের পদ থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।’