জানা যায়, কোরিয়ানরা ১২০০ বছর আগে প্রথমবারের মত ইসলামের সংস্পর্শে আসলেও কোরিয়ান ভাষায় পবিত্র কোরআনের কোনো অনুবাদ গ্রন্থ এতদিন ছিল না। এবার সেই ঘটতি মিটলো।
ড. হামিদ চৈ ১৯৭৫ সালে কোরিয়ার হানকুক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবি ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর তিনি ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব মদিনা থেকে ফান্ডামেন্টালস অফ রিলিজিয়ন অ্যান্ড দাওয়াহ বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
পেশাগত জীবনে ড. হামিদ চৈ একজন শিক্ষক, তিনি মিয়নজি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। তার জীবনের সবচেয়ে বড় সাফল্য হলো কোরিয়ান ভাষায় পবিত্র কোরআনের অনুবাদ করা। এটিই এ পর্যন্ত কোরিয়ান ভাষায় কোরআনের প্রথম অনুবাদ।
ইতিহাস থেকে জানা যায়, ইসলামের সঙ্গে কোরিয়ার প্রথম সাক্ষাৎ ছিল বাণিজ্যিক। খ্রিষ্ট্রীয় নবম শতকে আরব ও পার্সিয়ান মুসলিম ব্যবসায়ীদের কেউ কেউ কোরিয়া যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তারাই সে সময় কোরিয়ান উপদ্বীপের শিলা রাজ্যে মুসলিমদের স্থায়ী আবাস গড়ে তোলেন। তখন থেকে খ্রিষ্ট্রীয় ১৬ শতক পর্যন্ত কোরীয় উপদ্বীপে বিভিন্ন অঞ্চলের সঙ্গে মুসলিম ব্যবসায়ীদের যোগাযোগ, সখ্যতা ও বিভিন্ন স্থানে মসজিদ নির্মাণ করা হয়। এমনকি প্রশাসনিক পদেও মুসলিমরা দায়িত্ব পালন শুরু করেন।
কোরিয়ান ছাড়াও পবিত্র কোরআন আরও কয়েকটি ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে। কোরআনের প্রথম অনুবাদ করেন সালমান ফারসি, যিনি ৭ম শতকের প্রথম দিকে সূরা আল-ফাতিহা ফারসি ভাষায় অনুবাদ করেছিলেন।
ভোরের পাতা/কে