বিশ্বব্যাংককে বাজেট সাপোর্টের আওতায় প্রকল্প ঋণ প্রদানের অনুরোধ জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
তিনি বলেন, প্রচলিত নিয়মে প্রকল্পের বিপরীতে ঋণ প্রদানের কারণে প্রকল্প বাস্তবায়ন দ্রুত হয় না। অনেক সময় দেখা যায়, যেসব প্রকল্প প্রস্তুত থাকে না সেসব প্রকল্প প্রস্তুত ও অর্থ ছাড়করণের ক্ষেত্রে বিলম্ব হয়। এই অবস্থা উত্তোরণের জন্য বাজেট সাপোর্ট আকারে যদি ঋণ দেওয়া হয়, তাহলে অগ্রাধিকারভিত্তিতে সরকার প্রস্তুতকৃত প্রকল্পে অর্থ ছাড় করতে পারে। এর ফলে প্রকল্প বাস্তবায়ন দ্রুত করা সম্ভব।
রোববার (৫ ডিসেম্বর) ঢাকার একটি পাঁচতারকা হোটেলে অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল ও বিশ্ব ব্যাংকের দক্ষিন এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্টউইগ শ্যেফারের মধ্যে একটি দ্বিপাক্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে বিশ্ব ব্যাংক প্রতিনিধিদলে হার্টউইগ শ্যেফার ছাড়াও বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি মিয়াং টেম্বন, বিশ্বব্যাংকের আঞ্চলিক পরিচালক (দক্ষিণ এশিয়া) যৌবিদা খেরুস আলাউয়া, সেশিলে ফ্রুমান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
অর্থমন্ত্রী বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে ঋণ সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে আইডিএভূক্ত দেশগুলোর মধ্যে জনসংখ্যাধিক্যের দিক দিয়ে ৩য় স্থানে থাকা বাংলাদেশের জন্য জনসংখ্যার ভিত্তিতে নায্যতার সঙ্গে দ্রুত ঋণ মঞ্জুরের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি যথাসময়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বিদ্যমান বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণে সরকার ও বিশ্বব্যাংকের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
মুস্তফা কামাল বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংকের অব্যাহত সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতির ভিত যথেষ্ট মজবুত রয়েছে এবং করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে এমন অর্থনৈতিক সক্ষমতা ধরে রাখা বিরল।
অর্থমন্ত্রী ঢাকাকে অধিকতর নান্দনিক শহরের পাশাপাশি যোগাযোগ সহজীকরণের লক্ষ্যে একটি ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্প গ্রহণের বিষয়ে জানতে চাইলে হার্টউইগ শ্যেফার বলেন, প্রকল্পের আশানুরুপ উন্নতি হয়েছে। অচিরেই এ বিষয়ে সুখবর পাওয়া যাবে।
চলমান করোনা অতিমারির কারণে দেশের ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমবাজার এবং আর্থিক ও সামাজিক খাত সচল রাখার লক্ষ্যে ২০২১-২২ অর্থবছরে ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেট সাপোর্ট হিসাবে দ্রুত ছাড়করণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান। খবর: বাসস