বৃহস্পতিবার ২৮ নভেম্বর ২০২৪ ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে সুইজারল্যান্ড বানানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন: তাজুল ইসলাম   ইংরেজি নববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা   করোনায় মৃত্যু কমেছে, শনাক্ত বেড়েছে    আরও ৩ জনের ওমিক্রন শনাক্ত   শপথ নিলেন নতুন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী   বাস সরাতে গিয়ে দুই মৃত্যু: সেই পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা   আন্দোলনের বিকল্প নেই, ফয়সালা রাজপথেই হবে: ফখরুল   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
প্লাস্টিক রপ্তানিতে আয় বেড়েছে ৩০ শতাংশ
ভোরের পাতা ডেস্ক
প্রকাশ: রোববার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২১, ১১:০৫ পিএম আপডেট: ০৬.১২.২০২১ ১২:৩২ এএম | অনলাইন সংস্করণ

অভ্যন্তরীণ বিপুল চাহিদা মিটিয়ে বর্তমানে দেশের প্লাস্টিক পণ্যের রপ্তানি বাজার দ্রুত সম্প্রসারণ হচ্ছে। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম ৫ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) আন্তর্জাতিক বাজারে প্লাস্টিক পণ্য বিক্রয় থেকে রপ্তানি আয় হয়েছে ৫ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার, যা বিগত অর্থবছরের একইসময়ের তুলনায় প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি।

গত ২০২০-২১ অর্থবছরে প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৪ কোটি ৩৯ লাখ ডলার। চলতি অর্থবছর প্লাস্টিক পণ্য থেকে ১৩ কোটি ডলারের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।

বাংলাদেশ প্লাস্টিক পণ্য প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিপিজিএমইএ) সভাপতি শামীম আহমেদ বলেন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ফ্রান্স, পোল্যান্ড, স্পেন, কানাডাসহ বিশ্বের ২৩ দেশে সরাসরি যাচ্ছে বাংলাদেশের প্লাস্টিক পণ্য।গৃহসজ্জা থেকে অটোমোবাইল, চিকিৎসার সরঞ্জাম কিংবা রপ্তানি শিল্পের আনুষঙ্গিক সব পণ্য প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি হচ্ছে। নজর কাড়ছে প্রযুক্তির সমন্বয়ে তৈরি প্লাস্টিকের বাহারি খেলনাও। চীনের উপর নির্ভরতা কমিয়ে অনেক দেশ এখন বাংলাদেশের প্লাস্টিক পণ্যের প্রতি ঝুঁকছে। যে কারণে বৈশ্বিক বাজারে প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের পণ্যের রপ্তানি বাড়ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। 

বিপিজিএমইএ সভাপতি বলেন, কোভিড অতিমারির শুরুর দিকে অন্যন্যা শিল্প কারখানার ন্যায় প্লাস্টিক খাতেও নাজুক অবস্থা তৈরি হয়। কিন্তু সরকারের সময়োপযোগি পদক্ষেপ এবং প্রনোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নের কারণে অন্যান্য শিল্পের পাশাপাশি প্লাস্টিক খাতও ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বৈশ্বিক পর্যায়ে ব্যবসা বাণিজ্য স্বাভাবিক হতে থাকায় বাংলাদেশের রপ্তানিতে তার সুফল পাওয়া যাচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি মনে করেন আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালের দাম বেড়ে না গেলে রপ্তানি আয় আরও বেশি হত।

শামীম আহমেদ জানান, প্রত্যক্ষ প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানির পাশাপাশি বছরে গার্মেন্টস এক্সেসরিজ হিসেবে ৭০ কোটি ডলারের প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। তিনি বলেন,বর্তমানে প্লাস্টিক মোড়ক এবং গার্মেন্টস এক্সেসরিজ ব্যাতিরেকে কোন পণ্যই বিদেশে রপ্তানী করা অসম্ভব।  

বিপিজিএমইএর তথ্যমতে, বর্তমানে দেশে ছোট-বড় মিলে ৫ হাজার কারখানায় প্রায় ১৫ ক্যাটাগরিতে পণ্য উৎপাদন হয়। এর মধ্যে পোশাক খাতের জন্য পলিব্যাগ, হ্যাঙ্গার, প্লাস্টিক ক্লিপ, বোতাম, খেলনা সামগ্রীর মধ্যে পুতুল, বল, গৃহে ব্যবহারের জন্য চেয়ার, টেবিল, ডাইনিং টেবিল, বিভিন্ন ধরনের রেক, ঝুড়ি, বাথটাব, জগ, মগ, অফিসে ব্যবহারের জন্য পেপারওয়েট, স্কেল, টেবিল, বলপেন, ফাইল কভার অন্যতম। কৃষি খাতের জন্য পাইপ, সাইকেলের যন্ত্রাংশের মধ্যে বাম্পার, হাতলের কভার, ব্যাক লাইট, স্পোক লাইট, মাছ ও ডিম রাখার ঝুড়ি, ভিডিও ও অডিও ক্যাসেট, কম্পিউটারের উপকরণসহ বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিক সামগ্রী তৈরি হচ্ছে। খবর: বাসস



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]