স্বাধীনতার ৫০ বছরে শক্তিশালী অর্থনীতি বিকাশে গর্বিত অংশীদার এফবিসিসিআই: সভাপতি জসিম
প্রকাশ: রোববার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২১, ৯:০০ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
দেশের অর্থনীতিতে সবচেয়ে কার্যকর ভূমিকা রেখেছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। তাদের অবদানে দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী হয়েছে। সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ফলে বাংলাদেশ দ্রুত উন্নয়নের মহাসড়কে উঠতে সক্ষম হয়েছে। এমনটিই বলেছেন সংগঠনের সভাপতি জসিম উদ্দীন। বিজয়ের ৫০ বছর উদযাপনে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) পয়লা ডিসেম্বর থেকে ১৬ দিনব্যাপী লাল-সবুজের মহোৎসবের আয়োজন করেছে।
লাল সবুজের মহোৎসব’ বিষয়ে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, দেশ আজ উন্নয়নে শিখরে। এর অংশীদার দেশের ব্যবসায়ীরাও রয়েছে। তাই আমার বিজয়ের উৎসব পালন করছি। এখানে ব্যবসার কিছু নেই। তবে দেশের অর্থনীতি নিয়ে ব্যাপক পরিকল্পনা তো রয়েছে। স্বাধীনতার সময় বাংলাদেশ অবস্থান কী ছিলো তা সবারই জানা। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশ। ২০৪১ সালে উন্নত দেশ হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ব্যবসায়ীদের অবদানে এটি সম্ভব হয়েছে। দেশের উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি ব্যবসায়ীদেরও অবদান রয়েছে। পোশাক, চামড়া, পাট, রফতানিতে বিশে^ প্রথম সারিতে রয়েছে বাংলাদেশ।
ভবিষ্যৎ অর্থনীতি পরিকল্পনা নিয়ে বলেন, আগামী দশকে অর্থনীতির চাহিদার সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় কর্মকৌশল নির্ধারণ করতে মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। বাংলাদেশ ছিল সাহায্যনির্ভর দেশ। এখন আমরা বাণিজ্যনির্ভর দেশ। পোশাক, জনশক্তি, কৃষিখাত ছাড়াও আমরা ইলেকট্রনিকস, জাহাজ নির্মাণ, তথ্যপ্রযুক্তি, চামড়াজাত পণ্যসহ আরও বেশ কিছু খাতের নানা পরিকল্পনা রয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্য ও রফতানি খাতে চাহিদা তৈরি হবে নতুন পণ্যের। অর্থনীতির আকারও বড় হবে। সরকারের নানা অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন শেষ হলে বিদেশি বিনিয়োগও বাড়বে। তখন পণ্য পরিবহন ও বন্দরের সক্ষমতাও বাড়াতে হবে। এছাড়া তিনি আরও বলেন, এলডিসি-পরবর্তী পরিবর্তিত বৈশ্বিক চাহিদা মোকাবিলায় খাতভিত্তিক সক্ষমতা বৃদ্ধি সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশীয় শিল্পের সক্ষমতা বাড়াতে একটি ইনোভেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে এফবিসিসিআই। আগামী মাসেই এ সংক্রান্ত ধারণাপত্রটি সরকারের কাছে জমা দেওয়া হবে।
এফবিসিসিআই সভাপতি পরিকল্পনা নিয়ে বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ নিয়ে এফবিসিসিআই’র সঙ্গে কাজ করছে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়। এ কার্যক্রম শেষ হলে দেশে বর্জ্য দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও পুণঃপ্রক্রিয়াজাতকৃত পণ্যের উৎপাদন বাড়বে আশা প্রকাশ করেন তিনি। এছাড়া তৈরি পোশাকের বাইরে নতুন নতুন সম্ভাবনাময় পণ্যের তালিকা, সেগুলো রফতানির সুযোগ ও প্রতিবন্ধকতা বিষয়ে গবেষণা করতে এইচএসবিসির সঙ্গেও সমঝোতা স্মারক সই করেছে এফবিসিসিআই। এসব কার্যক্রমের ফলে এলডিসি পরবর্তী সময়ের সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি আরও বেগবান হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।