প্রকাশ: শনিবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২১, ৭:০১ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ গ্রাম পুলিশ বাহিনী কর্মচারী ইউনিয়ন।
শনিবার (৪ নভেম্বর) সকালে সেগুনবাগিচার বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের মহাসচিব কমান্ডার এম এ নাসের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বাড়িতে আসামীর কাঠ গড়ায় দাড়িয়ে আছি। পারছি না আমার সন্তানকে ঠিকমত লেখাপড়া শিখাতে, পারছি না আমার অসুস্থ মাকে ট্যাবলেট কিনে দিতে এতো হতভাগ্য সন্তান আমরা। এই গ্রাম পুলিশ বাহিনীকে নিয়ে কেউ কোন খোঁজ-খবর রাখে না। বিগত সালসহ বর্তমানে গ্রাম পর্যায়ে যত প্রকার কাজ আছে সব কাজ করছে আমাদের গ্রাম-পুলিশ বাহিনী। করোনার সময় বাড়ি বাড়ি গিয়ে সরকারের ত্রান জনগণের কাছে পৌঁছে দিয়েছে গ্রাম পুলিশ। গ্রাম পুলিশকে সঠিকভাবে পরিচালনা করলে স্থানীয় পর্যায়ে কোন প্রকাশ মাদক ও বাল্য বিবাহ থাকবে না। আমরা প্রশিক্ষণ নিয়ে আরো দক্ষ হয়ে জনগণের সেবা দিতে চাই। গ্রাম পুলিশরা গ্রামের প্রতিটি বাড়ি চিনে। জাতীয় নির্বাচন, ইউপি নির্বাচনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে আসছে গ্রাম পুলিশ বাহিনী। একমুঠো ডাল-ভাত খেয়ে যেন বাচঁতে পারি অন্তত এই সুযোগটি আমাদের দেন।’
তিনি বলেন, ‘গ্রাম পুলিশ বাহিনীর চাকরি জাতীয়করণের দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আগামী ১২, ১৩, ১৪ ডিসেম্বর প্রত্যেক জেলায় জেলায় এ মানববন্ধন করা হবে। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি পেশ করা হবে। এর মধ্যে যদি দাবি আদায় না হয় তাহলে আগামি বছরের ২ জানুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হবে। পরবর্তী সময়ে মানববন্ধন শেষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্মারকলিপি দেয়া হবে। এ সময়ের মধ্যে সরকার চাকরি জাতীয়করণের দাবি মেনে নেবে বলে মনে করে সংগঠনের নেতাবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সারাদেশে গ্রাম পুলিশ বাহিনীর ৪৬ হাজার ৮৭০ সদস্য রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১১ হাজারের মতো সদস্য সরকারি ভাতা ৩ হাজার ২শ টাকা পাচ্ছেন। এছাড়া অন্যান্য বেসরকারিতে যে ভাতা রয়েছে তা ৪-৫ মাস ধরে বেতন বকেয়া রয়েছে।
‘এ স্বল্প টাকায় কীভাবে সংসার চালাই’-- একথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন সংগঠনের মহাসচিব এম এ নাসের।
তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সহায়ক হিসেবে গ্রাম পুলিশের সদস্যরা কাজ করে। গ্রাম পুলিশ সদস্যদের চাকরি জাতীয়করণের পাশাপাশি তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করলে সন্ত্রাস নির্মূলের কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে বলে মনে করে গ্রাম পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা।’
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ গ্রাম পুলিশ বাহিনী কর্মচারি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কমান্ডার মো. মোস্তফা কামাল, মহাসচিব কমান্ডার এম.এ নাছের, কার্যকরী চেয়ারম্যান কমান্ডার নজরুল ইসলাম, দফতর সম্পাদক মো. ফোরকান উদ্দিন শিকদার প্রমুখ।