আন্দোলনের বিষয়ে শিক্ষার্থী সোহাগী সামিয়া বলেন, দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় ও রাস্তায় যে লুটপাট ও দুর্নীতি হয়েছে এর বিরুদ্ধে আমরা আজ কর্তৃপক্ষকে লাল কার্ড দেখাচ্ছি। ফুটবল খেলায় যেমন কোনো খেলোয়াড় ফাউল করলে রেফারি লাল কার্ড দেখায়, তেমনি আমরা আজ দুর্নীতির বিরুদ্ধে রেফারির ভূমিকায় নেমেছি। বাংলার মাটিতে দেশের ছাত্র সমাজ কখনো দুর্নীতি মেনে নেবে না। তাই আমরা সড়কের সঙ্গে যত লুটপাট ও দুর্নীতি যুক্ত তার বিরুদ্ধে লাল কার্ড দেখাচ্ছি।
আপনি শিক্ষার্থী নন এবং বাম রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে অনেকে দাবি করছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাকে নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে নানা গুজব রটানো হচ্ছে। আমি নাকি শিক্ষার্থী নই, আমার বয়স নাকি ৩০ বছর, আমি নাকি আন্দোলনের উসকানি দিচ্ছি। এসব মিথ্যা কথা। আমি এবার খিলগাঁও মডেল কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী। তবে হ্যাঁ আমার ব্যক্তিগত মতাদর্শ থাকতে পারে, সেটার সাথে এ আন্দোলন সংশ্লিষ্ট নয়। আমি আন্দোলনে কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য দিইনি। আমরা শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আন্দোলন করছি। আমি সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের ঢাকা মহানগরের দফতর সম্পাদক- এ কথা সত্যি।
প্রসঙ্গত, ২৯ নভেম্বর (সোমবার) রাত পৌনে ১১টার দিকে রাজধানীর রামপুরা এলাকায় গ্রিন অনাবিল পরিবহনের বাসের চাপায় মাইনুদ্দিন নামের এক শিক্ষার্থী নিহত হন। এ ঘটনায় রাতে সড়ক অবরোধ করে উত্তেজিত জনতা।
এর আগে গত ২৪ নভেম্বর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ময়লার গাড়ির ধাক্কায় নটর ডেম কলেজের মানবিক শাখার দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নাঈম হাসান (১৭) নিহত হয়। এ ঘটনার পর শিক্ষার্থীরা নিরাপদ সড়কের দাবিতে সড়কে নেমে আসেন।
ভোরের পাতা/কে