প্রকাশ: শনিবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:২৩ এএম | অনলাইন সংস্করণ
বাঙালি জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ মাস ডিসেম্বর। এই মাসটি পৃথিবীর অন্য কোন রাষ্ট্রের মানুষের ভাগ্যে জোটেনি যা বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যে জুটেছে। ‘বিজয়’; এই তিন অক্ষরের মধ্যে সব রাষ্ট্র, জাতি, ব্যক্তি বলেন, যে অফুরন্ত শক্তি এবং এই শক্তি যে কতটা শক্তিশালী হতে পারে, এই শক্তি একটি জাতি রাষ্ট্রের জন্য কত বড় ভূমিকা রাখতে পারে সেটি কিন্তু আমরা বাংলাদেশের ৫০ বছরের মাথায় এসে দেখছি।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৫৪২তম পর্বে শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- পিএসসি, নিরাপত্তা বিশ্লেষক, গবেষক ও লেখক মে. জে. (অব.) এ কে মোহাম্মদ আলী শিকদার, জার্মান আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ জাতীয় শ্রমিক লীগের সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ আহমেদ সেলিম, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক, খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক উইলিয়াম প্রলয় সমদ্দার। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
উইলিয়াম প্রলয় সমদ্দার বলেন, আমাদের জীবনের হয়তো অনেক অর্জন নেই। আমাদের এই দেশকে জন্মস্থান হিসেবে বেছে নেওয়ার সুযোগও আমাদের ছিল না। কিন্তু আমি গর্বিত, আমি আনন্দিত এই রকম একটি দেশে জন্মগ্রহণ করেছি যে দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ করে আমার পূর্বপুরুষরা স্বাধীনতা কেড়ে এনেছিল। অনেক উন্নত বিশ্বের নেতৃত্বদানকারী দেশের কিন্তু আমাদের মতো স্বাধীনতা দিবস কিংবা বিজয় দিবস নেই। আমরা এই স্বাধীনতার জন্য আমরা যুদ্ধ করেছি এবং সর্বশেষ আমরা বিজয় লাভ করেছি। এই অহংকার, এই গর্ব আমার রক্তে প্রবাহিত। সুতরাং আমিতো উদ্ভাসিত হবোই, আমিতো প্রাণচঞ্চল থাকবোই এই ডিসেম্বরসহ সারাটি বছর। এটার জন্য ব্যাখ্যা বা যুক্তির কোন প্রয়োজন নেই। যুদ্ধের সময় আমার বয়স ছিল ৬ বছর, তাই আমার তখন যুদ্ধে অংশগ্রহণ করার সুযোগ হয়নি কিন্তু আমার পরিবারের অনেক সদস্যই স্বাধীনতা যুদ্ধে সশরীরে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তারা বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং আমরাও তাদের কারণে অনেক লাঞ্ছিত হয়েছিলাম। সেই পরিশ্রম, ত্যাগ, তিতিক্ষা পারি দিয়ে আমরা বিজয় পেয়েছি। এর থেকে বড় প্রাপ্তি আমার কাছে আরও কিছু নেই। আমার মধ্যে কোন দিনই এই হতাশা জন্ম নেয়নি যে কেন আমি আমেরিকায় জন্মগ্রহণ করেনি। আমি গর্ব করি এবং সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ দেই এই বিজয়ের মহিমায় উদ্ভাসিত হবার মতো সুযোগ আমার জীবনে এসেছে।