প্রকাশ: শুক্রবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২১, ৮:১৬ পিএম আপডেট: ০৪.১২.২০২১ ১২:৪৮ এএম | অনলাইন সংস্করণ
বৃহস্পতিবার (২ডিসেম্বর) বিকালে পঞ্চগড় বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম স্টেডিয়ামে বিজয় পথে পথে পঞ্চগড় শক্রমুক্ত দিসব উপলক্ষে আয়োজিত আঞ্চলিক মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এই আয়োজিত আঞ্চলিক মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসনের সভাপতিত্বে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, আমি গভীর কৃতজ্ঞতার সাথে,শ্রদ্ধার সাথে, জ্ঞাপন করছি পঞ্চগড়ের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি। আমি আপনাদের সেলুট,ও সালাম জানাই, আপনারাই সর্বপ্রথম এই বাংলার মাটিতে পাক হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে বিতাড়িত করেছিলেন। আপনারাই প্রথম স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন করেছিলেন, এই গৌরব এই সম্মান বাঙালি জাতি বিশ্ববাসীকে উজ্জীবিত করেছে এবং পাক হানাদার বাহিনীর পরাজয়ের সূচনা ঘটেছে পঞ্চগড়ে।
পাকিস্তানি হায়নারা গর্ব করে বলতো আমরা পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী সেনাবাহিনী। আয়ুব খান friends not masters A political autobiography বইতে অবজ্ঞা করে লিখেছেন, বাঙালিরা ছোটখাটো লোক, তারা যুদ্ধ করতে জানেনা,তারা ভীরু তারা কাপুরুষ। তাই আমাদের পাকিস্তানি সেনাবাহিনীতে নেওয়া হয়নী। জনসংখ্যা দিক থেকে আমরা ছিলাম ছাপ্পান্ন ভাগ, তারা ছিল চৌচল্লিশ ভাগ। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীতে ওরা ছিল তিরানব্বই ভাগ, আমরা ছিলাম মাত্র সাত ভাগ। তাই আমাদের অবজ্ঞা করেছিল, সেই পাক হানাদার বাহিনী বাঙালিদের কাছে মাথা নতো করে,হাটুগিরে আত্মসমর্পণে বাধ্য হয়েছিল,ওদের পতনে সূচনা ঘটে ছিল এই পঞ্চগড়ে।
মুক্তিবাহিনী ও মিত্র বাহিনীর সাঁড়াশি আক্রমণে ১৯৭১ সালে (২৯ নভেম্বর) পাক হানাদার বাহিনীর হাত থেকে সর্বপ্রথম মুক্ত হয় এই অঞ্চল (২৯ নভেম্বর)সর্বপ্রথম স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন করা হয় এই পঞ্চগড়ে।
এই শত্রু মুক্ত দিবস উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, পঞ্চগড় জেলার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক মহোদয়, পঞ্চগড় জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার মহোদয়, পঞ্চগড় জেলার সম্মানিত জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মহোদয়, পঞ্চগড় সদর উপজেলা পরিষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান জনাব মোঃ আমিরুল ইসলাম মহোদয়, সভাপতি উপজেলা আওয়ামী লীগ পঞ্চগড় সদর পঞ্চগড় সহ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাগন।