প্রকাশ: বুধবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২১, ৮:১৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার বাবুপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে চরম বিতর্কিত এবং রাজনীতিতে ডিগবাজিতে সিদ্ধহস্ত আবুল কাশেম সারোয়ারকে নৌকার মাঝি বানাতে তৎপর হয়ে উঠেছে একটি মহল। এক সময় জামায়াতে ইসলামের রাজনীতি করলেও পরবর্তীতে বিএনপি হয়ে বর্তমানে আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই আবুল কাশেম ১৯৭৪ সালে মতিন মিয়া জাসদের সংসদ সদস্য থাকাকালীন সময়ে বহু আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে হত্যা করেছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। ১৯৮৬ সালে জাতীয় পার্টির মোসলেম উদ্দিনের পক্ষে লাঙ্গলের ভোট ডাকাতি করেছিল। ১৯৯১ সালে নাসির উদ্দিনের নৌকার বিরুদ্ধে গিয়ে জামায়াতে ইসলামের ডা. আজাদের দাঁড়িপাল্লার পক্ষে নির্বাচন করেছিল। এমনকি বর্তমান সংসদ সদস্য জিল্লুর হাকিম ১৯৯৬ সালে নৌকা পেলেও এই আবুল কাশেম সারোয়ার জাতীয় পার্টির এ বি এম নুরুলের পক্ষে কাজ করেন।
এমনকি সুযোগ সন্ধানী আবুল কাশেম ডিগবাজি খেয়ে আওয়ামী লীগে যোগদান করে বর্তমান এমপির হাত ধরে। এরপর টেন্ডারবাজি, সালিশ করে টাকা আদায়, থানায় দালালি, জমি দখল, নারী কেলেংকারিতে জড়িয়ে পরেন।
২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে এই আবুল কাশেম আবারো বিএনপিতে যোগ দিয়ে গমের চোরাই ব্যবসা শুরু করে। তার আত্নীয়রা বিএনপির নেতৃত্বে থাকার কারণে ওই সময় বিভিন্ন মামলা থেকে মুক্তি চায় সে।
আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে একাধিক ভূমিদখল ও চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে। মামলার স্বারক নম্বর-২৭০০, তারিখ ২৩-০৮-২০১৯। এই মাদক ব্যবসায়ী আবুল কাশেস সারোয়ার গত বছর নিশ্চিতপুর এলাকায় এক হাজার বিগা জমি দখল করে সেখানে মাছ চাষ করছেন বলেও জানা গেছে। এছাড়া এলাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেয়ার নাম করে অনেকের কাছ থেকে কমপক্ষে ৩০ লাখ টাকা আত্নসাত করারও অভিযোগ রয়েছে। এই আবুল কাশেম সারোয়ার বর্তমানে বাবুপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ বাগিয়ে নিয়েছেন। এমনকি আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে এমন চরম বিতর্কিত একজনকে নৌকার মনোনয়ন দেয়ার জন্য তৎপরতা শুরু করেছে একটি মহল। এ নিয়ে তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ইতিমধ্যেই জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগকে জানিয়েছে বিষয়টি।
এসব অভিযোগের বিষয়ে আবুল কাশেম সারোয়ারকে কয়েকবার ফোন করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।