সারাবিশ্বে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে গেছেন শেখ হাসিনা: অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা
প্রকাশ: রোববার, ২৮ নভেম্বর, ২০২১, ১০:৪৮ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বাঙালির আশা আকাক্সক্ষার একান্ত বিশ্বস্ত ঠিকানা, বাঙালির বিশ্বজয়ের স্বপ্ন সারথি, রাজনীতির উজ্জ্বলতম প্রভা, বিশ্বপরিমণ্ডলে অনগ্রসর দেশ, জাতি, জনগোষ্ঠীর মুখপাত্র হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন জননেত্রী থেকে বিশ্বনেত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে তার বড় প্রমাণ হলো গত কয়েক বছর ধরে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে। ২০২১ সালে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে এবং ২০৪১ সালের আগেই ‘উন্নত দেশ’ হিসেবে বিশ্বে আত্মপ্রকাশ করবে।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৫৩৭তম পর্বে রোববার (২৮ নভেম্বর) এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সেক্টর কমান্ডার ফোরামের যুগ্ম মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল মাবুদ, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা বলেন, আমরা যখন মুজিব শতবর্ষ পালন করছি এবং সাথে সাথে যখন স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করছি তখনই আমরা একটা সুখবর পেয়েছি যে বাংলাদেশের যে উন্নয়নশীল দেশের যে মর্যাদা সেটা আমরা পেতে যাচ্ছি। আমরা এলডিসি থেকে ডেভোলপিং দেশের মর্যাদায় উন্নতি পেতে যাচ্ছি। এটা আমদের জন্য একটা বিরল সম্মান। আজকে জাতীয় সংসদে সমাপনী বক্তব্যে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এই কথাটি বলেছেন। আমাদের যে অর্জন সেটা আজকে নয়, এই অর্জন অনেক আগে থেকেই অনেক চড়াই উৎরায় পাড়ি দিয়ে আজকের এই অবস্থানে এসেছি আমরা। বাংলাদেশের ইতিহাস রক্তাক্ত ইতিহাস। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হারিয়েছি। সেদিন যদি আমরা তাঁকে না হারাতাম তাহলে আরও আগেই হইত আজকে যে অর্জনটা আমরা পেয়েছি তার থেকেও বেশি অর্জন পেয়ে যেতাম আমরা। আজ তারই কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নয়নের কারিগর এবং উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশের রূপকার। তিনি বাঙালি জাতিকে নতুন এক আশা দেখিয়েছেন বাংলাদেশকে একটি মধ্যমআয়ের দেশে উন্নীত করার। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের বিচারসহ জাতীয় জীবনের বহু ক্ষেত্রে অভাবনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে তার হাত ধরেই। তার কারণেই বাংলাদেশ এক অনন্য মর্যাদায় আসীন। তিনিই বিশ্বের একমাত্র রাষ্ট্রপ্রধান যিনি জাতিসংঘে ১৮বার বাংলায় ভাষণ দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সারাবিশ্বে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে গেছেন। যতবারই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘে ভাষণ দিয়েছেন, ততবারই এর সক্রিয় অংশগ্রহণকারী ও দায়িত্ববান সদস্য হিসেবে বাংলাদেশের দৃঢ় অঙ্গীকার বিশ্ববাসীকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ, দারিদ্র্য, পরিবেশ বিপর্যয়, শান্তিরক্ষা কার্যক্রমসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইস্যু সমাধানের দাবি যেমন জানিয়েছেন, তেমনি জাতিসংঘের সূক্ষ্ণ সমালোচনায়ও শামিল হয়েছেন বিশ্বব্যাপী নিপীড়িত ও শরণার্থী মানুষের দুঃখ-দুর্দশার চিত্র তুলে ধরে। এটা সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সততা, মেধা ও দক্ষতার কারণে। তাইতো বিশ্বনেতারাও মনে করেন, ‘মেধা, যোগ্যতা, সততা ও দক্ষতার তিনি সারাবিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে পারেন। তাই দেশ বিরোধীরা যতই ষড়যন্ত্র করুক, কোন লাভ নেই, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবেই।