‘ওমিক্রন’ নামে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন শনাক্ত হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছে, করোনার অন্য ধরনগুলোর তুলনায় এটা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। এরই মধ্যে বিভিন্ন দেশ আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশও দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে যোগাযোগ স্থগিত করতে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, আফ্রিকান নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিষয়ে আমরা অবহিত হয়েছি। এই ভাইরাসটি খুবই এগ্রেসিভ। বিশ্বের আক্রান্ত অন্যান্য জায়গা থেকে যারা আসবে তাদের বিষয়েও সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। স্ক্রিনিং ছাড়া আক্রান্ত দেশের কোনো ব্যক্তি যেন দেশে প্রবেশ করতে না পারে সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট শাখাগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
করোনার অন্যান্য ধরনের তুলনায় ‘ওমিক্রন’ বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হলেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তৎপর রয়েছে বলে জানান মন্ত্রী। এ বিষয়ে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেছেন।
তিনি আরও বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ এখন স্থগিত করা হচ্ছে। সব এয়ারপোর্ট, ল্যান্ডপোর্ট বা দেশের সব প্রবেশপথে স্ক্রিনিং জোরদার করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সারাদেশে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলতে ও মাস্ক পরা নিশ্চিতে সব জেলা শহরের প্রশাসনকে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।
এসময় বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর এবিএম খুরশিদ আলমসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি করোনাভাইরাসের নতুন ‘বি.১.১.৫২৯’ প্রজাতিকে ‘ওমিক্রন’ নাম দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। এই প্রজাতিকে উদ্বেগজনক বা ‘ভেরিয়েন্ট অব কনসার্ন’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে সংস্থাটি। নতুন এই প্রজাতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে দেশ-বিদেশের বিশেষজ্ঞদের। দক্ষিণ আফ্রিকা ও বৎসোয়ানায় টিকাপ্রাপ্তরাই করোনার নতুন এই প্রজাতির দ্বারা সংক্রমিত হয়েছেন।
ভোরের পাতা/অ