জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বিসিএস অফিসার্স ফোরাম (জুবফ) শুক্রবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে বিকেল ৩টায় শুরু হওয়া আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন। বিশেষ অতিথি ছিলেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম।
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যাডার সার্ভিসে যোগ দেওয়া জাবির গ্র্যাজুয়েটদের সংগঠন জুবফ।
এদিন ভেন্যু প্রাঙ্গণে স্থাপিত বিভিন্ন স্টলে জুবফ সদস্যরা আড্ডার মাধ্যমে পিঠা, ফুচকা ও অন্যান্য মজাদার খাবার খেতে খেতে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের স্মৃতিচারণ করেন। ক্যাম্পাসের স্থাপনার আদলে নির্মিত দুটি ফটো বুথে ছবি তুলতে দেখা যায় তাদের।
মূল আয়োজন শুরু হয় সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায়। বাংলাদেশ পুলিশ নাট্যদল মঞ্চস্থ করে ‘অভিশপ্ত আগস্ট’। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের হত্যাকাণ্ডের ঘটনাবলি ও তার পটভূমি এর নাটকের গল্প।
এরপর পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠের মাধ্যমে সভা শুরু হয়। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জুবফ সাধারণ সম্পাদক ডিএমপির ডিসি মতিঝিল মো. আ. আহাদ। জুবফ গঠনের ইতিহাস, তাৎপর্য ও লক্ষ্য তুলে ধরেন তিনি। এ সময় বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের দাবি জানান ও বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে সঠিকভাবে দেশকে পরিচালনার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। বলেন, ফোরামের প্রতিটি সদস্য প্রধানমন্ত্রীর পাশে থাকবে।
সভায় অংশগ্রহণের জন্য জাবির সাবেক শিক্ষার্থী ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন সম্মতি দিলেও জরুরি প্রয়োজনের দেশের বাইরে থাকায় লিখিত বক্তব্য পাঠান। তিনি জুবফ সদস্যদের দেশের জন্য ৯৯ শতাংশ নয়, শতভাগ উজাড় করে সেবা দেওয়ার আহ্বান জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম জাবির সাবেক শিক্ষার্থী হিসেবে ক্যাম্পাস জীবনের স্মৃতিচারণ করেন ও বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
জুবফ সদস্যদের নিঃস্বার্থভাবে দেশমাতৃকার সেবা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনা ধারণ করে শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দেশ সেবায় নিয়োজিত থাকার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তিনি।
আরও বক্তব্য রাখেন জুবফ সভাপতি ও সাবেক সচিব মনোয়ার আহমেদ, জুবফ সহসভাপতি ও জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন প্রস্তুতি উপ-কমিটির আহ্বায়ক মো, তাহিয়াত হোসেন, ডিআইজি খুলনা রেঞ্জ ও জুবফ সহসভাপতি ড. খন্দকার মাহিদ উদ্দিন এবং কর কমিশনার ও জুবফের কোষাধ্যক্ষ মো. বজলুল কবির ভূঁইয়া।
নৈশভোজ ও র্যাফেল ড্র’র মাধ্যমে রাত সাড়ে ১১টায় অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।