প্রকাশ: শনিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০৭ এএম আপডেট: ২৭.১১.২০২১ ১২:১৩ এএম | অনলাইন সংস্করণ
স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের সুপারিশ অনুমোদন করেছে জাতিসংঘ। একমাত্র দেশ হিসেবে তিনটি মানদণ্ডই পূরণ করেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে কথা বললে আসলে এতো অল্প সময়ে বলে শেষ করা যাবে না। জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে যাওয়ার জন্য যে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশ যেমন একই সূত্রে গাঁথা, ঠিক তেমনি বাংলাদেশের উন্নয়ন ও জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একই সূত্রে গাঁথা।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৫৩৫তম পর্বে শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সাবেক সংসদ সদস্য, ঢাকা মহানগর উত্তর যুব মহিলা লীগের সভাপতি সাবিনা আক্তার তুহিন, বেলজিয়াম আওয়ামী লীগের সভাপতি, বঙ্গবন্ধু ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ সেন্টারের কো-অর্ডিনেটর বজলুর রশীদ বুলু। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের সুপারিশ অনুমোদন করেছে জাতিসংঘ। একমাত্র দেশ হিসেবে তিনটি মানদণ্ডই পূরণ করেছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম বৈঠকের ৪০তম প্লেনারি সভায় বুধবার এ ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসির (সিডিপি) ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনা সভায় দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ বা গ্রাজুয়েশনের মানদণ্ড পূরণের মাধ্যমে উত্তরণের সুপারিশ লাভ করেছিল। সিডিপি একইসঙ্গে বাংলাদেশকে ২০২১ থেকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরব্যাপী প্রস্তুতিকালীন সময় প্রদানের সুপারিশ করেছে। জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ ইতোমধ্যে সিডিপির সুপারিশ অনুমোদন করেছে। আশা করা হচ্ছে, পাঁচ বছর প্রস্তুতিকাল শেষে বাংলাদেশের উত্তরণ ২০২৬ সালে কার্যকর হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৭৫ পরবর্তী বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল রাষ্ট্রনায়ক। তার হাত ধরে এ দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি এবং উন্নয়ন পৌঁছে গেছে এক অনন্য উচ্চতায়। শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের অনেক প্রভাবশালী রাজনীতিবিদও এগুলো স্পর্শ করতে পারেননি। এ অর্জন অনন্য ও অতুলনীয়। তিনি টানা ৪০ বছর দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের সভাপতি। ১৭ বছরের বেশি সময় চতুর্থবারের মতো সরকার পরিচালনা করছেন। ৭৫ পরবর্তী সময়ে বিপন্ন গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করে দেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ইতিহাসের সঠিক ধারায় এনে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন। ৩১টি বেশি আন্তর্জাতিক পদক ও স্বীকৃতি লাভ করেছেন এবং চল্লিশটির অধিক বই লিখেছেন। বিস্ময়কর অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুসহ অবকাঠামো উন্নয়নে এক নবজাগরণ ঘটিয়েছেন। ১২ বছর আগের মাথাপিছু আয়কে চারগুণ বাড়িয়ে ২২২৭ ডলারে উন্নীত করেছেন। দেশের রিজার্ভকে সর্বকালের রেকর্ডে উন্নত করে ৪৮.৫ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে গেছেন। অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি নারীর ক্ষমতায়ন, স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী ব্যাপকভাবে সম্প্রসারণ, স্যানিটেশনসহ সব ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন আজ দৃশ্যমান। যার স্বীকৃতি দিয়ে চলছে বিশ্ব সম্প্রদায়ও। এসডিজি বাস্তবায়ন অ্যাওয়ার্ডসহ তার অর্জনে যুক্ত হচ্ছে নতুন রেকর্ড। বাংলাদেশ পৌঁছে যাচ্ছে এক সমৃদ্ধ মানবিক বাংলাদেশ হিসেবে অনন্য উচ্চতায়। তাইতো তিনি আজ জননেত্রী থেকে বিশ্বনেত্রী।