‘বয়সের কারণে, অসুস্থতার কারণে, অসুস্থ হয়ে মারা গেলে সরকারের উপরে দোষ চাপাতে পারবেন না।’
বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
এ সময় বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে সরকার গলাটিপে মারছে না জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এখানে বিষয়টা আইনগত এবং মানবিক বিষয়টাও আছে। যেটা প্রধানমন্ত্রী মানবিক দিকটা বিবেচনা করছেন বলে তিনি বাসায় থাকতে পেরেছেন এবং তারা সাজা স্থগিত করা হয়েছে, বাকিটা আইনমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যা বলছেন আমি সরকারের মন্ত্রী হিসাবে সমর্থন না করতে পারি না। কাজেই এই বিষয়ে আমার কোন বক্তব্য নেই। তাদের বক্তব্যকেই সমর্থন করি।
আর বিএনপি বলছে কিছু হলেই সরকারের দায় নিতে হবে। এটা এখন আমি নিজেও মৃত্যুর কাছাকাছি ছিলাম, একদম মৃত্যুর কাছ থেকে ফিরে এসেছি।
একজন মানুষের মৃত্যু হবে আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের যাদের ধর্ম বিশ্বাস আছে, মানুষের হায়াত মওত আল্লার হতে। চিকিৎসা চলছে, আইনমন্ত্রী বলেছেন বিদেশ থেকে আরও ভালো চিকিৎসক আপনারা মনে করেন নিয়ে সেই ব্যবস্থা সরকার দেবে।
কিন্তু একজন মানুষ মরে গেলে, সরকার তো তাকে গলা টিপে মারছে না, তার দায় সরকারের উপর তুলে দিবেন, এটা তো ঠিক না। আমাদের বয়স হয়েছে বেঁচে থাকার তো একটা সময় সীমা আছে, জন্মের সঙ্গে মৃত্যু জড়িত। এটা আল্লাহ রাজি হলে বা কোন কারণে, মানুষের অসুস্থতার কারণে, অসুস্থত হয়ে মারা গেলে সরকারের উপরে আপনি কথায় কথায় দোষ চাপাতে পারবেন না।
তিনি আরও বলেন, দেখুন খালেদা জিয়ার যে ইস্যুটা, আইনের বাইরেরও এক্সিকিউটিভ অথারিটিতে প্রধানমন্ত্রী যে মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন এর কোন তুলনা হয় না। এখন তিনি বাসায় আছেন, এটা বিএনপির আন্দোলনের ফসল নয়। বিএনপি বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য শরীর নিয়ে যতটানা, তারা তার চিকিৎসার ব্যপারটা নিয়ে কথা বলছেন, তার চেয়ে বেশি তারা বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করছেন। এই ইস্যুটাকে রাজনৈতিক ইস্যু বানানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই ব্যপারে কথা বলা যাদের দায়িত্ব, আইন মন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তারা ইতোমধ্যে বক্তব্য দিয়েছেন। সরকারে যারা দায়িত্বে আছেন, একেকজন একেক রকম বক্তব্য দেব না। সরকারের নিয়ম অনুযায়ী যাদের যে বিষয়ে কথা বলা দরকার, তারা সে বিষয়ে কথা বলবে। যেমন ভাড়ার বিষয় এটা আমার বিষয় এটা নিয়ে আমাকে বলতে হবে।
নতুন বছরে আমরা বাংলাদেশের সমৃদ্ধির আরও পরিবর্তন দেখতে চাই: অধ্যাপক ড. ফারুক মির্জা
এ বছরে শিক্ষা ও গবেষণায় গুরুত্ব বাড়াতে হবে: অধ্যাপক ড. জাকারিয়া মিয়া
২০২২ সালে বাংলাদেশে আরও নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হবে: ড. মো. হারুন-উর-রশিদ আসকারী
৫৪ বছর বয়সে এসএসসি পাস
অবশেষে মৃত্যুর কাছে হেরে গেলেন সেই এএসআই
বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাপনা, গণতন্ত্র ও নির্বাচন
