প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২১, ১১:১৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
শুধু দক্ষিণ এশিয়া নয়, বিশ্বে অনন্য নেতায় আবির্ভূত হয়েছেন শেখ হাসিনা। যিনি তাঁর পরিবারের সবাইকে হারিয়ে এভাবে মানসিকভাবে সুস্থ থেকে দেশের জন্য মেধা দিয়ে এগিয়ে নিয়ে চলা, এটা কিন্তু খুবই কঠিন কাজ। তবুও তিনি এই কঠিন কাজটি সম্পন্ন করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। এই রকম একজন নেতা পৃথিবীর অন্য কোথাও আর নেই। এইরকম ট্রমাটাইজড মানুষ যার জীবনের প্রতি মুহূর্তে হুমকির সম্মুখীন হয়েছে। তিনি কিভাবে এই কাজগুলো করে আসছেন তা আজ বিশ্ব নেতাদের ভাবিয়ে তুলছে। উন্নয়ন অভিযাত্রায় ভিশনারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিয়েছেন উন্নত বাংলাদেশ গড়ার ‘রূপকল্প-২০৪১’। সে সময় বাংলাদেশ উন্নত দেশে পদার্পণ করবে। এই রূপকল্প বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ হবে সোনার বাংলা যেখানে দারিদ্র্য হবে সুদূর অতীতের ঘটনা।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৫৩২তম পর্বে মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন, ভিয়েনা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি রবিন মোহাম্মদ আলী। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
রবিন মোহাম্মদ আলী বলেন, জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ গড়ার কাজে সকাল ঘুম থেকে উঠে ফজর নামাজ পড়ে প্রথমেই দেশ ও দেশের বাহিরে আমাদের প্রবাসীদের খবর নেন। এই যে কিছু দিন আগে কপ-২৬ সম্মেলন হলো সেখানে আমাদের জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই সম্মেলনে যোগ দিলেন সেখানে আমাদের দেশের সাথে বাহিরের দেশের সাথে যে সেতুবন্ধন হচ্ছে সেটা দিন দিন আরও মজবুত হচ্ছে। আজ তারই সুযোগ্য নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশ এক অনন্য উচ্চতায় চলে গিয়েছে, বিশ্বের বিস্ময় হয়ে উঠেছেন তিনি। তাঁর নেতৃত্বে এরই মধ্যে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে ওঠার মানদণ্ড পূরণ করেছে বাংলাদেশ। অর্থনীতির আকারের দিক থেকে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে ৪৩, আর ক্রয়ক্ষমতা বিবেচনায় বিশ্বের ৩৪তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই মানবতাবিরোধীদের বিচার হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার হয়েছে, বিচারের রায় কার্যকর হয়ে দেশ কলঙ্কমুক্ত হয়েছে। তাঁর শাসনামলেই সমুদ্রসীমা জয় করেছে বাংলাদেশ, যা বাংলাদেশের ভৌগোলিক ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে থাকবে। তিনি বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা আদায়ে সক্ষম হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে বাংলাদেশকে যেখানে এনে দাঁড় করিয়েছেন তা এক অসম্ভব সাফল্য, যা অনেক শাসকের কাছেই অকল্পনীয় ও ঈর্ষণীয়। বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ এখন চমক। শুধু বাংলাদেশই নয়, বিশ্বকে এগিয়ে নেওয়ার আন্তর্জাতিক মঞ্চে শেখ হাসিনার পরামর্শও এখন গ্রহণযোগ্য এবং প্রশংসনীয়। তিনি আজ জাতিসংঘ তথা বিশ্ব পরিমণ্ডলে শান্তি ও ন্যায়ের এক মূর্তপ্রতীক। জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে অদম্য গতিতে। উন্নয়নে, অগ্রগতিতে, মানবিকতায়, ন্যায় নিষ্ঠতায়, সুশাসনে তিনি আজ সারা বিশ্বের বিস্ময়, অগ্রগতির দৃষ্টান্ত, বাংলার অহংকার। শুধু অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নয়, কূটনীতিক দিক থেকেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছেন। তিনি মেধা ও প্রজ্ঞা দিয়ে সব বিরূপ পরিস্থিতিকে নিজের অনুকূলে নিয়ে এসেছেন। অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে যেখানেই বাধা এসেছে, তাঁর সমাধানে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমরা উন্নয়নের যে মহাসড়কে যাত্রা শুরু করে সামনে এগিয়ে যাচ্ছি, সেখান থেকে আর পেছনে ফিরে তাকানোর সুযোগ নেই। বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সমৃদ্ধি ও প্রগতির পথে সকল বাধা দূর করার দায়িত্ব গ্রহণ করবে। শেখ হাসিনার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতা বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক বিশ্বে সুউচ্চ মর্যাদার আসনে নিয়ে গেছে। সারা বিশ্বের প্রভাবশালী রাষ্ট্রনেতারা তাঁর কাজের ভূয়সী প্রশংসা করছেন। নেতৃত্ব গুণে ও সততায় তিনি আজ সারা বিশ্বে সমাদৃত। দুর্দমনীয় অসীম সাহস, বাস্তব কৌশল ও পরিকল্পনা দ্বারা করোনা মোকাবিলা করে পেয়েছেন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।