করোনা সংক্রমণের ৪র্থ ঢেউয়ের ঝুঁকির মুখে পড়েছে জার্মানি। এ অবস্থায় জার্মান স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়েন্স স্পান দেশটির নাগরিকদের করোনার টিকা নিতে আহ্বান জানিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
সোমবার (২২ নভেম্বর) তিনি বলেন, করোনার ডেল্টা ধরনকে প্রতিহত করতে হলে টিকার বিকল্প নেই। খবর বিবিসির।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্পান বলেন, সবার জন্য করোনার টিকা বাধ্যতামূলক করার পক্ষে আমি নই। তবে নৈতিক দায়িত্ববোধ থেকে সবার টিকা নেওয়া উচিত। কেননা, এর ফলে একদিকে যেমন নিজের সুরক্ষা নিশ্চিত করা যাবে। অন্যদিকে অন্য মানুষের সুরক্ষাও নিশ্চিত হবে।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতা মানে দায়িত্ববান হওয়া। করোনার টিকা নেওয়ার মাধ্যমে সমাজের প্রতি আপনার দায়িত্ব পালন করুন।
এদিকে জার্মানিতে প্রতিদিনই নতুন সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছে। ইতিমধ্যে দেশটির অনেক হাসপাতাল করোনা রোগীতে পূর্ণ হয়ে গেছে। মোট জনসংখ্যার ৬৮ শতাংশ করোনার টিকার পূর্ণাঙ্গ ডোজের আওতায় এসেছেন। তবে এই হার পশ্চিম ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশ কম।
মহামারি শুরুর পর থেকে এখন জার্মানিতে সবচেয়ে বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ৩০ হাজার ৬০০ এর বেশি। বর্তমানে একদিনে বিশ্বে করোনা রোগী শনাক্তের এটাই সর্বোচ্চ সংখ্যা।
এছাড়া করোনার ডেলটা ধরন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে টিকা না নেওয়া ব্যক্তিদের কিছু জায়গায় চলাফেরায় বিধিনিষেধ আরোপ করেছে জার্মানি। আসন্ন বড়দিনের আগে বেশকিছু বাজার বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার।
উল্লেখ্য, শীত মৌসুমের শুরুতেই পুরো ইউরোপে করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। সংক্রমণ ঠেকাতে ইতিমধ্যে লকডাউনে গেছে অস্ট্রিয়া। ইউরোপজুড়ে করোনার নতুন করে বিস্তারে উদ্বেগ জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বিবিসিকে সংস্থাটির আঞ্চলিক পরিচালক হ্যান্স ক্লুগ বলেছেন, ইউরোপে করোনা সংক্রমণ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা খুব চিন্তিত। জরুরি ব্যবস্থা নেওয়া না হলে আগামী মার্চ মাস নাগাদ ইউরোপে পাঁচ লাখ মানুষের মৃত্যুর রেকর্ড হতে পারে।