প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২১, ১:১৫ এএম আপডেট: ২৩.১১.২০২১ ১:১৭ এএম | অনলাইন সংস্করণ
সংস্কার কার্যক্রমের মধ্যে দিয়ে বিশ্বের নিরাপদতম শিল্পে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত। বাকি শিল্পখাতে এমন ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে চায় জাতিসংঘ। সে লক্ষ্য বেসরকারি খাতের সংশ্লিষ্টতা জরুরি। সেজন্য দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীক সংগঠন এফবিসিসিআই’র সঙ্গে একসাথে কাজ করতে আগ্রহী জাতিসংঘ।
সোমবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআই সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে এ বিষয়ে কথা বলেন জাতিসংঘের শ্রম বিষয়ক সংগঠন আইএলও বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পোটিআইনেন।
এ সময় তিনি রানা প্লাজা পরবর্তী পোশাক খাতে ব্যাপক সংস্কার এবং সম্প্রতি এফবিসিসিআই ও বিডার যৌথ উদ্যোগে অভ্যন্তরীণ বাজারের জন্য উৎপাদনকারী কারখানা পরিদর্শন কার্যক্রমের প্রশংসা করেন। বর্তমান কমিটির উদ্যোগে এফবিসিসিআই সেফটি কাউন্সিল স্থাপনের জন্য এফবিসিসিআই সভাপতিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন আইএলও কান্ট্রি ডিরেক্টর।
আইএলও বাংলাদেশ এ বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের পাশাপাশি, এফবিসিসিআইকে পাশে পেলে বাংলাদেশের শ্রমখাতকে আরো উন্নত করা সহজ হবে বলে মনে করেন টুমো পোটিআইনেন।
এসময় সংগঠনটির সভাপতি মোঃ আরদাশীর কবির, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশন এবং এফবিসিসিআই’তে দুটি ওয়ার্কিং গ্রুপ তৈরির প্রস্তাব দেন। ঐ দুই গ্রুপ যৌথভাবে আইএলও’র তৈরি খসড়া কর্মপরিকল্পনা যাচাই বাছাই করে চুড়ান্ত করবে।
এসময় এফবিসিসিআই সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন আইএলও’র মাধ্যমে জাতিসংঘের নেয়া এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান। তিনি জানান, এফবিসিসিআই ও বিডার উদ্যোগে এরইমধ্যে ১০৮টি কমিটি গঠিত হয়েছে যারা প্রাথমিক ভাবে ৫০০টি কারখানা পরিদর্শন করবে। আইএলও’র তৈরি খসড়া কর্মপরিকল্পনা যাচাই করে এফবিসিসিআই’র বিশেষজ্ঞরা এ ব্যাপারে তাদের মতামত দেবে বলে জানান এফবিসিসিআই সভাপতি।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র সহ-সভাপতি এম এ মোমেন, মোঃ আমিন হেলালী, মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক এবং এফবিসিসিআই সেফটি কাউন্সিলের উপদেষ্টা বিগ্রে. জেনারেল (অব.) আবু নাঈম মোঃ শহীদুল্লাহ।