প্রকাশ: সোমবার, ২২ নভেম্বর, ২০২১, ১১:১৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
জননেত্রী বিশ্বনেত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্থনৈতিক উত্থান, সামাজিক সুরক্ষা, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, নারীর ক্ষমতায়নসহ তাঁর বহুমাত্রিক অবদান আজ সারা বিশ্বে আলোড়িত হচ্ছে। তিনি ভিশনারি লিডার, আপোসহীন নেত্রী, গণমানুষের নেতা, উন্নয়নের রোল মডেল এবং সকল ক্ষেত্রে আমাদের আস্থার প্রতীক। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে এমন কোন ক্ষেত্র নেই যার উন্নয়নে কাজ করা হয়নি। বাংলাদেশকে বর্তমানে বিশ্বে উদীয়মান অর্থনীতির দেশ হিসেবে চিহ্নিত করছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৫৩১তম পর্বে সোমবার (২২ নভেম্বর) এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- জার্মান আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি শাহাবউদ্দিন মোহাম্মদ, জার্মান আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা, বাংলাদেশ কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মায়েদুল ইসলাম তালুকদার বাবুল। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
মায়েদুল ইসলাম তালুকদার বাবুল বলেন, আমি প্রথমেই ভোরের পাতার সকল দর্শকবৃন্দকে আমার হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আজ আমরা ভোরের পাতা সংলাপের মাধ্যমে বিশ্বময় শেখ হাসিনার নেতৃত্ব নিয়ে কিছু কথা বলতে এসেছি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মহীয়সী নারী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের একজন আলোকিত সন্তান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাহসী নেত্রী ও দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক, আধুনিক ও ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার তিনি। তার নেতৃত্বে বিশ্ব সভায় বাংলাদেশ আজ প্রশংসিত। বঙ্গবন্ধু আজীবন সংগ্রাম করে বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে অনন্য মর্যাদায় অভিষিক্ত করেছেন; সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছেন ও বাস্তবায়নে অগ্রসর হয়েছেন; তাঁর সেই আদর্শিক ধারায় স্নাত হয়ে শেখ হাসিনা মেধা ও দূরদর্শিতাসম্পন্ন রাজনীতিক হিসেবে জনগণের ভাগ্য বদলে দিয়েছেন। জননেত্রীর নেতৃত্বে এ মুহূর্তে বাংলাদেশের অগ্রগতি অসামান্য। শেখ হাসিনা তাঁর নিজের কাজে প্রমাণ করেছেন যে, রাজনীতির অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশ ও জনগণের ভাগ্য-উন্নয়ন। মানবতার তরে শেখ হাসিনা এইসকল কাজ করার জন্য আন্তর্জাতিক অনেক পুরস্কার পেয়েছেন। এসব পুরস্কার তাঁর কাজের স্বীকৃতি হলেও তিনি নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে চলেছেন জনমানুষের কল্যাণে। আমরা এখন অদম্য বাংলাদেশের বাসিন্দা- যে দেশের প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হচ্ছেন, যে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, দেশের তৈরি পোশাক বিদেশিদের গায়ে পরিধেয় বস্ত্র হচ্ছে, বিশ্ব দরবারের প্রথম কাতারে ব্যবসায়-বাণিজ্য, গবেষণা, ক্রীড়া সব ক্ষেত্রে অগ্রণী হয়ে উঠেছে। অবকাঠামোখাতে বাংলাদেশের উন্নয়ন যেন রূপ কথাকে হার মানায়। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, এলিভেটেড এক্সপ্রেস, কর্ণফুলী টানেল আজ কল্পনা নয় বাস্তব। গ্রামীণ বাংলার মেঠো পথে আজ কংক্রিটের ছোঁয়া লেগেছে। শহরের সকল সুবিধা ধীরে ধীরে পৌঁছে যাচ্ছে গ্রামে। ভারত-মিয়ানমারের সাথে সমুদ্রসীমা জয় শেখ হাসিনার বুদ্ধিদীপ্ত কূটনীতির সুফল। শেখ হাসিনার জন্য লাল-সবুজের পতাকা আজ মহাকাশের অবস্থান পেয়েছে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটালাইটের মাধ্যমে। বাংলাদেশের বেকার সমস্যা সমাধানে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের অনুমোদন দিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার।