সোমবার (২২ নভেম্বর) বিকালে নগরীর পাথুরীয়াপাড়া পানুয়া খানকা শরীফ সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
নিহত কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল (৪৫) পাথুরীয়াপাড়া এলাকার সৈয়দ শাহজাহানের ছেলে। তিনি ১৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। হরিপদ সাহা (৫৫) নবগ্রাম এলাকার বাসিন্দা। তিনি নগরীর ১৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিকালে কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল নগরীর পাথুরিয়াপাড়া এলাকায় তার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে স্থানীয় কয়েকজনকে নিয়ে বসা ছিলেন। এসময় মুখোঁশ পরিহিত ১০-১২ জনের একটি সন্ত্রাসী দল এলোপাতারিভাবে গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে তার কার্যালয়ে প্রবেশ করে। সন্ত্রাসীদের গুলিতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হন।
এসময় খুব কাছে থেকে সন্ত্রাসীরা কাউন্সিলর সোহেলকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়লে তিনি লুটিয়ে পড়েন। ওই কাউন্সিলরের মৃত্যু নিশ্চিত ভেবে সন্ত্রাসীরা ফাঁকা গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে মোটর সাইকেল ও সিএনজিযোগে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
কাউন্সিলরের কার্যালয়ে গুলিবর্ষণের ঘটনা স্থানীয় মসজিদের মাইকে প্রচার করা হলে শত শত মানুষ ঘটনাস্থলের দিকে ছুটে আসে। স্থানীয়রা গুলিবিদ্ধ কাউন্সিলরসহ আহতদের উদ্ধার করে কুমেক হাসপাতালে ৭ জনকে ভর্তি করে এবং অপর আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যায়।
কুমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অপর আহতরা হলেন- অ্যাডভোকেট সোহেল চৌধুরী, রিজু মিয়া, মো. জুয়েল, হরিপদ সাহা, মো. রাসেল, মাজেদুল হক বাদল।
এ ঘটনার পর পাথুরিয়াপাড়া, সুজানগর বউ বাজার, সংরাইশসহ আশপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। রাতে শত শত লোকজন কুমেক হাসপাতালে ভিড় জমায়। এদিকে হাসপাতালে কাউন্সিলর সোহেল ও হরিপদ সাহা মারা গেছেন এমন খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে কয়েকটি স্থানে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
ভোরের পাতা/কে