প্রকাশ: রোববার, ২১ নভেম্বর, ২০২১, ৫:৩৮ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
গ্রেফতার করা হল পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল যুব কংগ্রেস নেত্রী সায়নী ঘোষকে।
রোববার (২১ নভেম্বর) বিকেলে তাকে গ্রেফতার করে আগরতলা পুলিশ।
ত্রিপুরায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরের ঠিক ২৪ ঘণ্টা আগে আগরতলা পূর্ব মহিলা থানা ঘিরে বিজেপির তাণ্ডবের অভিযোগ করেছে তৃণমূল।
অভিযোগে বলা হয়, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হামলায় রক্তাক্ত হয়েছেন একাধিক তৃণমূল কর্মী এবং নেতা। এই প্রেক্ষিতে টুইট করে বিপ্লব দেবকে সরাসরি আক্রমণ করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
টুইট করার কিছু পরেই গ্রেফতার করা হল সায়নীকে।
এদিকে রোববার সকাল থেকেই আগরতলা পূর্ব থানায় ছিলেন সায়নী। তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। সহকর্মীর পাশে থাকতে থানাতেই রয়েছেন সুস্মিতা দেব-সহ প্রাক্তন সাংসদ অর্পিতা ঘোষ ও কুণাল ঘোষ।
বিজেপি-র বিরুদ্ধে থানায় ঢুকে হামলা চালানোর অভিযোগ।
সুস্মিতার দাবি, থানার বাইরে লাঠি হাতে, হেলমেট পরে জমায়েত করে বিজেপি। সায়নী থানায় ঢুকতেই আক্রমণ করে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। সেই সঙ্গে তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিকের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ।
এদিকে স্থানীয় তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিকের দাবি, পুলিশকে কাজে লাগিয়ে এভাবে তৃণমূলের পথরোধ করার চেষ্টা করছে বিজেপি। নেতা কর্মীদের উপর ইটবৃষ্টি চলছে, পুলিশ নীরব দর্শক।
তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ত্রিপুরায় জঙ্গলের রাজত্ব চলছে। থানায় ডেকে এনে মেরে ফেলার পরিকল্পনা ছিল।
উল্লেখ্য, হিট অ্যান্ড রান-এর অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সায়নী ঘোষকে নিয়ে তৃণমূল নেতারা আগরতলা মহিলা থানায় ঢোকার পর ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, তাদের থানায় ডেকে এনে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে।
ভোরের পাতা/অ