মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষ্যে শনিবার (২০ নভেম্বর) জুমে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় জানিপপ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও অনুষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর ডক্টর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের শ্রেষ্ঠ অভিভাবক।
মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষ্যে জুমে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য উপস্থাপন করেন ইউএন ডিজএ্যাবিলিটি রাইটস্ চ্যাম্পিয়ন আবদুস সাত্তার দুলাল।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় দুলাল বলেন,আমার কাছে বঙ্গবন্ধু একটি বিশ্বাস,একটি চেতনার নাম ।তিনি স্মৃতিচারণ করে বলেন, বঙ্গবন্ধুর বক্তব্য শোনার জন্য আমি ঝড় বৃষ্টি উপেক্ষা করে গাছে পর্যন্ত আরোহন করেছি।উনাকে স্বচক্ষে দেখার চেষ্টা করেছি। উনার চমৎকার বক্তব্য ও ব্যক্তিত্ব আমাকে আজোও আলোড়িত করে ,উজ্জীবিত করে। তার দর্শন সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে হবে।
আজকের আলোচনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন যথাক্রমে ৭৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা ও কবি নজরুল ইসলাম, রংপুর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসাঃ আর্জিনা খানম, উত্তর কুমিল্লা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য মোঃ জাকির হোসেন আজাদ এবং মূখ্য আলোচক হিসেবে কলকাতা থেকে সংযুক্ত ছিলেন ভারতের টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব ও কলামিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় কবি ও রাজনীতিক নজরুল ইসলাম বলেন, শিক্ষিত এবং প্রশিক্ষিত জনগোষ্ঠীকে সংগঠিত করে বঙ্গবন্ধুর দর্শন ও প্রভাব ছড়িয়ে দিতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের সুফল জনগণের দুয়ারে পৌঁছে দেয়ার জন্য সংঘটিত হয়ে কাজ করতে হবে।
এসময় আজাদ বলেন, তৃনমুল পর্যায়ে বঙ্গবন্ধুর প্রভাবকে কাজে লাগাতে হবে এবং বঙ্গবন্ধুর বিসর্জন ও আত্মত্যাগের মহিমায তুলে ধরতে হবে।
খানম বলেন ,বঙ্গবন্ধু নারীর ক্ষমতায়নের জন্য কাজ করে গেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে দেশের মানুষের বৃহত্তর কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন।
অনুষ্ঠানে মূখ্য আলোচকের বক্তব্যে শ্রীমান ভট্টাচার্য বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাবধারাকে অন্তর থেকে লালন-পালন করতে হবে। তিনি আরো বলেন,বঙ্গবন্ধু অসাম্প্রদায়িক,মানবিক ও কল্যাণকামী রাষ্ট্রের স্বপ্নদ্রষ্টা। আমাদেরকে বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করতে হবে।
আজকের অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন ওয়েস্টার্ন সিডনি ইউনিভার্সিটি, অস্ট্রেলিয়া থেকে ড. তানভীর ফিত্তীণ আবীর। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর দেহান্তর ঘটলেও তার দর্শন মুছে যায়নি।এ দর্শন মুছে যাবার নয় । বাঙালি জাতিকে যারা মনেপ্রাণে মেনে নিতে পারেনি তারাই বঙ্গবন্ধুর দর্শন মুছে ফেলার ব্যর্থ চেষ্টা করেছে।
আজকের অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও বঙ্গবন্ধু গবেষক ড. জেবউননেছা,রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা এর সহযোগী অধ্যাপক, বিভাগীয় প্রধান ও ডেইলি প্রেসওয়াচ সম্পাদক দিপু সিদ্দিকী,নীলফামারীর জলঢাকা থেকে পিএইচডি গবেষক ফাতেমা-তুজ-জোহরা লিমা, জয় কুমার পাল,নুরুজ্জামান নোবেল,পঞ্চগড় থেকে খাদেমুল ইসলাম।
আজকে অনুষ্ঠানের সূচনা বক্তব্য প্রদান করেন দিনাজপুর বীরগঞ্জ উপজেলার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মুর্শিদ।
ড. জেবউননেছা ,বঙ্গবন্ধুর মানবিক ও উদার রাজনীতির বিভিন্ন উদাহরণ তুলে ধরেন। সিদ্দিকী ,বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং দর্শন বাঙালি জাতির হৃদয়ে প্রভাব বিস্তার করনে প্রয়োজনীয় কর্মতৎপরতার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
পিএইচডি গবেষক ফাতেমা-তুজ-জোহরা লিমা বলেন,বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য জানিপপে’র সান্ধ্যকালীন আয়োজন নবপ্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করছে। জানিপপ-এর বর্ষকালব্যাপী এ আয়োজনের জন্য সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
এছাড়াও আজকের আলোচনা সভায় সংযুক্ত ছিলেন সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তা ইএন রুমা।