পথের ইশকুলের এবারের ‘বিশ্ব শিশু দিবস ২০২১’ উদযাপনে, পথশিশুদের অধিকার আদায়ে ফ্ল্যাশ মবের আয়োজনে দাবি গুলো হলো-
* পথশিশুদের জন্মনিবদ্ধন এর জন্য বিশেষ আইন ও নীতিমালা প্রণয়ন করা।
* করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে অতিদ্রুত পথশিশুদের টিকার আওতায় আনা।
* সরকারি হাসপাতাল গুলোতে পথশিশুদের জন্য আলাদা একটি বুথ বা পয়েন্ট বা নির্দিষ্ট কাউন্টার তৈরি করা যেখান থেকে পথশিশুরা যেকোনো সময় বিনা মূল্যে সকল চিকিৎসা সেবা গ্রহন করতে পারবে।
* সরকারি পূনর্বাসন কেন্দ্র বা সংশোধনাগার বা কিশোর জেল গুলো শিশু বান্ধব হিসেবে তৈরি করা এবং একজন সাইকোলজিস্ট নিয়োগ দেয়া যাতে করে তাদের মানসিক সুস্থতা ও বিকাশ ঠিক মত হচ্ছে কিনা সেটা নিশ্চিত করা।
* বিশেষ করে পথশিশুদের জন্য সরকারি ভাবে আলাদা মাদকাশক্তি নিরাময় কেন্দ্র তৈরি করা।
* অপরাধপ্রবণ শিশুদের গ্রেফতার ও সাজা প্রদান করার সময় তাদের বয়স দালিলিক নথির মাধ্যমে পুরোপুরি নিশ্চিত করা। মৌখিকভাবে কোনো বয়স নির্ধারণ করে ১৮ বছরের নিচে যেকোন শিশুদের প্রাপ্ত বয়স্কদের মত সাজা বা দন্ড প্রদান বন্ধ করা।
*পথশিশুদের যৌন নির্যাতনের হার তুলনা মূলক বেশি হওয়ায় পথশিশুদের যৌন নির্যাতন বন্ধের জন্য বিশেষ আইন তৈরি ও প্রয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
* পথশিশুরা যেহেতু গৃহহীন ও ভাসমান সুতরাং তাদের জন্য আবাসিক প্রাথমিক শিক্ষার সুযোগ তৈরি করে দেয়া।
* ফার্মেসি থেকে পথশিশুদের কাছে প্রেসক্রিপশন ছাড়া কোনো ঘুমের ঔষধ (মায়ালোজিপাম, ডেক্সপোটেন, নকটিন, রিভোট্রিল) বিক্রি না করা। প্রেসক্রিপশন ছাড়া কোনো ঘুমের ঔষধ বিক্রয় করলে উক্ত ফার্মেসি এর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া।
* পথশিশুদের অধিকাংশই পেষ্টিং বা ড্যান্ডির মাধ্যমে নেশাগ্রস্থ হয়ে থাকে। পথশিশুদের কাছে যেনো পেষ্টিং বা ড্যান্ডি বিক্রয় না করা হয় সেজন্য উক্ত বিষয়ে সরকারের সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়ন, প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন করা।
* সকল সুবিধাবঞ্চিত শিশু, পথশিশু, রোহীঙ্গা শিশু, যুদ্ধ বিদ্ধস্ত দেশের শিশু সহ বিশ্বের প্রতিটি শিশুর সমান অধিকার নিশ্চিত করার জন্য জাতিসংঘ প্রণীত শিশু নীতিমালা বিশ্বের প্রতিটি শিশুর জন্য প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন করা।
উল্লেখ্য, ঢাকার গুলিস্তানে ২০১৫ সালের ৩১শে ডিসেম্বর থেকে পথশিশুদের একটি প্রি-এডুকেশনাল স্কুল হিসেবে পথের ইশকুল কার্যক্রম পরিচালনা করছে। যেখানে বিনামূল্যে পথশিশুদের লেখাপড়ার, খাদ্য, চিকিৎসা, কর্মসংস্থান ও পুর্নবাসন ব্যবস্থা করে থাকে।