প্রকাশ: শনিবার, ২০ নভেম্বর, ২০২১, ১০:৩২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
আজকে জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের নেত্রী, জনগণের নেত্রী থেকে সাড়া পৃথিবীতে সমাদৃত একজন নেত্রীতে রূপান্তরিত হয়েছেন। কেন তিনি আজ সাড়া পৃথিবীতে সমাদৃত? কারণ মানুষের কল্যাণে আজকে তিনি প্রায় ৪০ বছর ধরে একটানা কাজ করছেন। তার আগেও তিনি কাজ করতেন। ছাত্রী জীবন থেকেই তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বড় হয়েছেন এবং মানুষের তরে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সুযোগ্য ও বিচক্ষণ নেতৃত্বে বাংলাদেশকে আজ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করেছেন। বাঙালি জাতি তাঁর নেতৃত্বে সমৃদ্ধশালী উন্নত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছে।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৫২৯তম (২০ নভেম্বর) পর্বে শনিবার এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সেক্টর কমান্ডার ফোরামের যুগ্ম মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল মাবুদ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়ার ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহিনূর রহমান, কবি ও শিক্ষক আয়শা জাহান নূপুর। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
আয়শা জাহান নূপুর বলেন, ১৯৭৫ সালের পর থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্তের সময়ের দিকে যদি আমরা তাকাই তাহলে দেখতে পাবো বাংলাদেশের উন্নয়ন আদৌ কতটা হয়েছিল। কিন্তু আমরা যদি ১৯৯৬ পরবর্তী মেয়াদের কথা চিন্তা করি তাহলে এই উন্নয়নের যে ধারাবাহিকতা শুরু হয়েছিল জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেটা আজ পর্যন্ত কোথায় গিয়েছে তা আমরা সবই জানি। সেটা আজ শুধু আমরা না সাড়া বিশ্ববাসী আমাদেরকে জানান দিচ্ছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড আজ কতদূর এগিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মোট চারবার দেশের ক্ষমতায় এসেছেন, এখনো আছেন। সাধারণ মানুষের ভালোবাসা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিশ্বাসী মানুষরা সেসময়টাকে সুদীর্ঘ করে এখন ২০২১ সাল পর্যন্ত সেটা বর্তমান করেছে। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতার প্রচেষ্টায় অসম্মানজনক অনুন্নত বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশে প্রমোশন দেয় জাতিসংঘ। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদাপূর্ণ আসনে যাওয়ার ছাড়পত্র পেয়েছি। ১৯৭২ সালের শতকরা ৮০ ভাগ অর্থাৎ ছয় কোটি লোক দারিদ্র্যসীমার নিচে থেকে কভিড-১৯ পূর্ব সময়ে শতকরা ২০ দশমিক ৩ ভাগ অর্থাৎ তিন কোটির কিছু বেশি। নারীর ক্ষমতা ও সমতায়নে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার সর্বোচ্চ স্থানে চিহ্নিত করে। বিশ্ব শান্তি সূচকে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় তৃতীয়—ভারত-পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে। শেখ হাসিনা বর্তমান বিশ্বে নারী হিসেবে ব্রিটেনের রানী এলিজাবেথের পরে সবচেয়ে অভিজ্ঞ রাজনীতিক এবং একই সাথে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন সরকার প্রধান। একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলের প্রধান নেতা হিসেবে চার দশকের পথচলার পাশাপাশি দেশ পরিচালনায় দেড় দশক অতিক্রম করে দুই দশকের পথে সফল যাত্রায় বিশেষ করে নারী অধিকার রক্ষায় ও নারী উন্নয়নে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে তাঁর সফল ও গতিশীল নেতৃত্বে। এটা অবশ্যই বিশ্বের নারী সমাজের জন্য অনন্য সাধারণ ঘটনা। সারা পৃথিবীতে নারী অধিকার রক্ষায় ও সব ক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতায়নে শেখ হাসিনা নিঃসন্দেহে সব নারীর অনুপ্রেরণা। বিশ্বের বুকে সর্ব ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আজ বিস্ময়। আর বিস্ময়ের সূচনা জাতির পিতার হাত ধরে এগিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার মাধ্যমে। বঙ্গবন্ধুর ‘সোনার বাংলা’ নির্মাণে বাংলাদেশকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।