পৃথিবীর নিপীড়িত জনতার নেতৃত্ব দিচ্ছেন শেখ হাসিনা: বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল মাবুদ
প্রকাশ: শনিবার, ২০ নভেম্বর, ২০২১, ১০:৩২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
আজকে জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের নেত্রী, জনগণের নেত্রী থেকে সাড়া পৃথিবীতে সমাদৃত একজন নেত্রীতে রূপান্তরিত হয়েছেন। কেন তিনি আজ সাড়া পৃথিবীতে সমাদৃত? কারণ মানুষের কল্যাণে আজকে তিনি প্রায় ৪০ বছর ধরে একটানা কাজ করছেন। তার আগেও তিনি কাজ করতেন। ছাত্রী জীবন থেকেই তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বড় হয়েছেন এবং মানুষের তরে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সুযোগ্য ও বিচক্ষণ নেতৃত্বে বাংলাদেশকে আজ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করেছেন। বাঙালি জাতি তাঁর নেতৃত্বে সমৃদ্ধশালী উন্নত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছে।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৫২৯তম (২০ নভেম্বর) পর্বে শনিবার এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সেক্টর কমান্ডার ফোরামের যুগ্ম মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল মাবুদ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়ার ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহিনূর রহমান, কবি ও শিক্ষক আয়শা জাহান নূপুর। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল মাবুদ বলেন, আজকে জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের নেত্রী, জনগণের নেত্রী থেকে সাড়া পৃথিবীতে সমাদৃত একজন নেত্রীতে রূপান্তরিত হয়েছেন। কেন তিনি আজ সাড়া পৃথিবীতে সমাদৃত? কারণ মানুষের কল্যাণে আজকে তিনি প্রায় ৪০ বছর ধরে একটানা কাজ করছেন। তার আগেও তিনি কাজ করতেন। ছাত্রী জীবন থেকেই তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বড় হয়েছেন এবং মানুষের তরে কাজ করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু আমাদের ছেড়ে চলে যাওয়ার পরে তিনি শক্ত হাতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হাল ধরেছেন এবং হাল ধরে সাড়া পৃথিবীতে এই দলের পরিচয় ব্যাপকভাবে ঘটিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর ‘সোনার বাংলা’ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে শেখ হাসিনা যখন সরকার গঠন করেন, এ দেশের মানুষ অন্য এক বাংলাদেশের গল্প শুনতে পায়। এক সময় যেই বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলে সমালোচনা করা হয়েছিল, সেই দেশ আজ বিশ্ব বাজারে বিনিয়োগের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে, যোগ করেন তিনি। সিদ্ধান্ত গ্রহণ, নেতৃত্বগুণ, মানবিকতা আর বিচক্ষণতায় নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশরত্ন শেখ হাসিনা শুধু জাতীয় নেতাই নন, তিনি আজ তৃতীয় বিশ্বের একজন বিচক্ষণ বিশ্বনেতা হিসেবে অবতীর্ণ হয়েছেন। মানবিকতা, অসাম্প্রদায়িকতা, উদার, প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক ও বিজ্ঞানমনস্ক জীবনদৃষ্টি তাঁকে করে তুলেছে এক আধুনিক, অগ্রসর রাষ্ট্রনায়ক। নিজ রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও আপসহীন নেতৃত্বের মাধ্যমে দীর্ঘ ৪০ বছর যাবত দেশের অসাম্প্রদায়িক এবং গণতান্ত্রিক রাজনীতির প্রধান নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। দেশ এখন উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। অর্থনৈতিক ভাবে দেশ আজ সমৃদ্ধ। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে অনেক আগে। সড়ক যোগাযোগে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। বড় বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের ফলে দেশ প্রায় শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় চলে এসেছে। দেশের বড় দুটো সেতু শেখ হাসিনার হাতেই নির্মিত। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলী টানেল, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র এখন স্বপ্ন নয়, বাস্তব। একবিংশ শতাব্দীর অভিযাত্রায় দিনবদল ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার কাণ্ডারী তিনি। সারা বিশ্বের নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের ভরসাস্থল।