সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে সুইজারল্যান্ড বানানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন: তাজুল ইসলাম   ইংরেজি নববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা   করোনায় মৃত্যু কমেছে, শনাক্ত বেড়েছে    আরও ৩ জনের ওমিক্রন শনাক্ত   শপথ নিলেন নতুন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী   বাস সরাতে গিয়ে দুই মৃত্যু: সেই পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা   আন্দোলনের বিকল্প নেই, ফয়সালা রাজপথেই হবে: ফখরুল   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
বিশ্বব্যাপী সমাদৃত রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা
#পৃথিবীর নিপীড়িত জনতার নেতৃত্ব দিচ্ছেন শেখ হাসিনা: বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল মাবুদ। #শেখ হাসিনার প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিশ্ব: ড. শাহিনূর রহমান। #বিশ্বের সকল নারীর অনুপ্রেরণা হয়েছেন শেখ হাসিনা: আয়শা জাহান নূপুর।
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: শনিবার, ২০ নভেম্বর, ২০২১, ১০:৩২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

আজকে জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের নেত্রী, জনগণের নেত্রী থেকে সাড়া পৃথিবীতে সমাদৃত একজন নেত্রীতে রূপান্তরিত হয়েছেন। কেন তিনি আজ সাড়া পৃথিবীতে সমাদৃত? কারণ মানুষের কল্যাণে আজকে তিনি প্রায় ৪০ বছর ধরে একটানা কাজ করছেন। তার আগেও তিনি কাজ করতেন। ছাত্রী জীবন থেকেই তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বড় হয়েছেন এবং মানুষের তরে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সুযোগ্য ও বিচক্ষণ নেতৃত্বে বাংলাদেশকে আজ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করেছেন। বাঙালি জাতি তাঁর নেতৃত্বে সমৃদ্ধশালী উন্নত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছে।

দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৫২৯তম (২০ নভেম্বর) পর্বে শনিবার এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সেক্টর কমান্ডার ফোরামের যুগ্ম মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল মাবুদ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়ার ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহিনূর রহমান, কবি ও শিক্ষক আয়শা জাহান নূপুর। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।

বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল মাবুদ বলেন, আজকে জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের নেত্রী, জনগণের নেত্রী থেকে সাড়া পৃথিবীতে সমাদৃত একজন নেত্রীতে রূপান্তরিত হয়েছেন। কেন তিনি আজ সাড়া পৃথিবীতে সমাদৃত? কারণ মানুষের কল্যাণে আজকে তিনি প্রায় ৪০ বছর ধরে একটানা কাজ করছেন। তার আগেও তিনি কাজ করতেন। ছাত্রী জীবন থেকেই তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বড় হয়েছেন এবং মানুষের তরে কাজ করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু আমাদের ছেড়ে চলে যাওয়ার পরে তিনি শক্ত হাতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হাল ধরেছেন এবং হাল ধরে সাড়া পৃথিবীতে এই দলের পরিচয় ব্যাপকভাবে ঘটিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর ‘সোনার বাংলা’ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে শেখ হাসিনা যখন সরকার গঠন করেন, এ দেশের মানুষ অন্য এক বাংলাদেশের গল্প শুনতে পায়। এক সময় যেই বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলে সমালোচনা করা হয়েছিল, সেই দেশ আজ বিশ্ব বাজারে বিনিয়োগের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে, যোগ করেন তিনি। সিদ্ধান্ত গ্রহণ, নেতৃত্বগুণ, মানবিকতা আর বিচক্ষণতায় নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশরত্ন শেখ হাসিনা শুধু জাতীয় নেতাই নন, তিনি আজ তৃতীয় বিশ্বের একজন বিচক্ষণ বিশ্বনেতা হিসেবে অবতীর্ণ হয়েছেন। মানবিকতা, অসাম্প্রদায়িকতা, উদার, প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক ও বিজ্ঞানমনস্ক জীবনদৃষ্টি তাঁকে করে তুলেছে এক আধুনিক, অগ্রসর রাষ্ট্রনায়ক। নিজ রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও আপসহীন নেতৃত্বের মাধ্যমে দীর্ঘ ৪০ বছর যাবত দেশের অসাম্প্রদায়িক এবং গণতান্ত্রিক রাজনীতির প্রধান নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। দেশ এখন উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। অর্থনৈতিক ভাবে দেশ আজ সমৃদ্ধ। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে অনেক আগে। সড়ক যোগাযোগে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। বড় বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের ফলে দেশ প্রায় শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় চলে এসেছে। দেশের বড় দুটো সেতু শেখ হাসিনার হাতেই নির্মিত। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলী টানেল, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র এখন স্বপ্ন নয়, বাস্তব। একবিংশ শতাব্দীর অভিযাত্রায় দিনবদল ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার কাণ্ডারী তিনি। সারা বিশ্বের নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের ভরসাস্থল।

ড. শাহিনূর রহমান বলেন, শেখ হাসিনার যে বিশ্ব নেতৃত্বের যে জায়গায় আজ তিনি অধিষ্ঠিত হয়েছেন সেটা মাত্র এই কয়েক মিনিটের সংলাপে বলে শেষ করা যাবে না। জননেত্রী শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া থেকে আজ তিনি বিশ্ব নেতার কাতারে উঠে এসেছেন। টানা ৪০ বছর সফলতার সঙ্গে নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী, উপমহাদেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগকে। কারাবরণ, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মৃত্যুর মুখোমুখি হয়ে অনেক চড়াই-উৎড়াই, ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগকে এখনকার শক্ত অবস্থানে এনে দাঁড় করিয়েছেন। তাঁর নেতৃত্বে চারবার রাষ্ট্র ক্ষমতার মধ্যে বর্তমানে টানা তৃতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে। চারবার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। তিনবার ছিলেন বিরোধী দলের নেতা। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করার সময় বিদেশে অবস্থানের কারণে তার দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা প্রাণে বেঁচে যান। ১৯৭৫ সালের পটপরিবর্তনের পর ১৯৮১ সালের ১৭ মে প্রায় ৬ বছরের নির্বাসিত জীবন শেষে দেশে ফিরে আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে দলীয় প্রধানের দায়িত্ব নেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। তিনি সেদিন দেশে ফেরার পর থেকে এখন পর্যন্ত যেসকল কাজ করেছেন এই বাংলাদেশ তথা বাংলাদেশের মানুষের জন্য তার কারনেই বিশ্বের বুকে সর্ব ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আজ বিস্ময়। আর বিস্ময়ের সূচনা জাতির পিতার হাত ধরে এগিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার মাধ্যমে। বঙ্গবন্ধুর  ‘সোনার বাংলা’ নির্মাণে বাংলাদেশকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় নারী, বয়স্ক, গরিব, প্রতিবন্ধী অসহায় দরিদ্র মানুষের জন্য বিভিন্ন ভাতা চালু ও দশ লক্ষাধিক রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে মানবিক নেত্রী হিসেবে বিশ্বে শেখ হাসিনার নাম সর্বাগ্রে। বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সময়মতো কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ ও সর্বাগ্রে দেশের মানুষের জন্য কার্যকরী টিকার ব্যবস্থা করে দেয়ায় দেশের মানুষের ন্যায় বিশ্ববাসীও একবাক্যে শেখ হাসিনার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সুযোগ্য ও বিচক্ষণ নেতৃত্বে বাংলাদেশকে আজ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করেছেন। বাঙালি জাতি তাঁর নেতৃত্বে সমৃদ্ধশালী উন্নত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছে। শেখ হাসিনা মানেই উন্নয়ন, শেখ হাসিনা মানেই বাংলার আধুনিক রূপ।

আয়শা জাহান নূপুর বলেন, ১৯৭৫ সালের পর থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্তের সময়ের দিকে যদি আমরা তাকাই তাহলে দেখতে পাবো বাংলাদেশের উন্নয়ন আদৌ কতটা হয়েছিল। কিন্তু আমরা যদি ১৯৯৬ পরবর্তী মেয়াদের কথা চিন্তা করি তাহলে এই উন্নয়নের যে ধারাবাহিকতা শুরু হয়েছিল জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেটা আজ পর্যন্ত কোথায় গিয়েছে তা আমরা সবই জানি। সেটা আজ শুধু আমরা না সাড়া বিশ্ববাসী আমাদেরকে জানান দিচ্ছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড আজ কতদূর এগিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মোট চারবার দেশের ক্ষমতায় এসেছেন, এখনো আছেন। সাধারণ মানুষের ভালোবাসা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিশ্বাসী মানুষরা সেসময়টাকে সুদীর্ঘ করে এখন ২০২১ সাল পর্যন্ত সেটা বর্তমান করেছে। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতার প্রচেষ্টায় অসম্মানজনক অনুন্নত বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশে প্রমোশন দেয় জাতিসংঘ। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদাপূর্ণ আসনে যাওয়ার ছাড়পত্র পেয়েছি। ১৯৭২ সালের শতকরা ৮০ ভাগ অর্থাৎ ছয় কোটি লোক দারিদ্র্যসীমার নিচে থেকে কভিড-১৯ পূর্ব সময়ে শতকরা ২০ দশমিক ৩ ভাগ অর্থাৎ তিন কোটির কিছু বেশি। নারীর ক্ষমতা ও সমতায়নে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার সর্বোচ্চ স্থানে চিহ্নিত করে। বিশ্ব শান্তি সূচকে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় তৃতীয়—ভারত-পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে। শেখ হাসিনা বর্তমান বিশ্বে নারী হিসেবে ব্রিটেনের রানী এলিজাবেথের পরে সবচেয়ে অভিজ্ঞ রাজনীতিক এবং একই সাথে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন সরকার প্রধান। একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলের প্রধান নেতা হিসেবে চার দশকের পথচলার পাশাপাশি দেশ পরিচালনায় দেড় দশক অতিক্রম করে দুই দশকের পথে সফল যাত্রায় বিশেষ করে নারী অধিকার রক্ষায় ও নারী উন্নয়নে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে তাঁর সফল ও গতিশীল নেতৃত্বে। এটা অবশ্যই বিশ্বের নারী সমাজের জন্য অনন্য সাধারণ ঘটনা। সারা পৃথিবীতে নারী অধিকার রক্ষায় ও সব ক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতায়নে শেখ হাসিনা নিঃসন্দেহে সব নারীর অনুপ্রেরণা। বিশ্বের বুকে সর্ব ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আজ বিস্ময়। আর বিস্ময়ের সূচনা জাতির পিতার হাত ধরে এগিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার মাধ্যমে। বঙ্গবন্ধুর ‘সোনার বাংলা’ নির্মাণে বাংলাদেশকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]