প্রকাশ: শনিবার, ২০ নভেম্বর, ২০২১, ৭:৪৯ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
শ্রীনগর উপজেলার বাঘড়া বাজার সংলগ্ন পদ্মা নদীর তীর ঘেষা চরে বাঘড়া মৎস্য আড়তে বসছে জমজমাট মাছ মেলা। আড়তটিতে পদ্মা নদীর রূপালী তাজা ইলিশ, বোয়াল, চিতল, পাঙ্গাস, শিলং, সরপুঁটিসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বিকিকিনি হয়। প্রতিদিন সকাল প্রায় ৬ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত ঘন্টাব্যাপী পুরোদমে আড়তে এসব মাছ কেনা-বেচার মধ্যে দিয়ে আড়তে সমাপ্তি ঘটে। এছাড়াও এখানে পাওয়া যায় আড়িয়াল বিলের ডাঙ্গার শোল, গজার, রুই, কাতল, কৈ, খলিসা, শিং, মাগুরসহ ছোট বড় নানা প্রজাতির দেশী মাছ।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, বাঘড়া বাজার সংলগ্ন পশ্চিম দিকে পদ্মা নদীর চর ঘেষা বাঘড়া মৎস্য আড়তটির অবস্থান। খোলা আকাশের নিচে শীতের হিমেল ঠান্ডা সকালে মাছ কেনা বেচা হচ্ছে। দূরদুরান্ত থেকে শত শত পাইকার ও সাধারণ ক্রেতার সমাগম ঘটে এখানে। প্রায় ২০/২৫ জন আড়তদার নিয়মিত এখানে মাছ বিকিকিনি করেন। ক্রেতা পাইকারের হাকডাকে জমে উঠে বাঘড়া মৎস্য আড়তটি। উপজেলার বাঘড়া ও ভাগ্যকুল এলাকার পেশাদার জেলেরা পদ্মা নদী থেকে মাছ নিয়ে ভোরের অন্ধকার কাটার আগেই আড়তে জমায়েত হন। সূর্য উঠার আগেই আড়তে এসব মাছ বিকিকিনি শেষ হয়ে যায়।
লক্ষ্য করা যায়, পদ্মা নদীর ও আড়িয়াল বিলের বিভিন্ন প্রজাতির তাজা মাছে ঠাসা আড়তটি। পলাশ বর্মন, মন্নাফ, জাহাঙ্গীর, কৃষ্ণ দাস বলেন, এই আড়তে নদীর মাছের আমদানী বেশী। স্থানীয় জেলেরা সবাই মাছ নিয়ে এখানে আসেন।
আড়তদার গোবিন্দ্র দাস, সুকুমার, আলম, শ্যামসিদ্ধ বেপারী জানান, মাছ নিতে পাইকাররা ঢাকা, দোহার, নবাবগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থান থেকে এখানে আসেন। নদীর তাজ ভেজালমুক্ত প্রায় সবধরনের মাছই ইঠে আড়তে।
বাঘড়া মৎস্য আড়তের ইজারাদার আলমগীর বেপারী জানান, আমার জানামতে দেশ স্বাধীনের আগেই এখানে আড়তটি গড়ে উঠে। এখানে শতকরা ৫ টাকা করে আড়তদারী রাখা হয়। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৪ লাখ টাকার মত মাছ বিকিকিনি হয়। তুলনামূলকভাবে সীমিত লাভে এখানে মাছ কেনা বেচার মধ্যে দিয়ে বাঘড়া আড়তের ঐতিহ্য ধরে রাখা হয়েছে।