আগামী বছরের মহাকাশ যাত্রার অভিযাত্রীদের নাম ঘোষণা হতেই জেসিকাকে অভিনন্দন জানান সহকর্মীরা। নাসার বিজ্ঞানী ক্যাথি লুডার্সও টুইট করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
মহাকাশচারী জনি কিম বলেন, মহাকাশে আরও এক ঝাঁক! জেসিকা ওয়াটকিন্সকে অভিনন্দন। স্পেসএক্স ক্রু-৪ অভিযানে অসাধারণ কিছু করে দেখাবে ও।
মহাকাশে অবশ্য আগেও পা ফেলেছেন কোনও কৃষ্ণাঙ্গ নারী। ১৯৯২ সালে স্পেস শাটল এনডেভারে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিলেন প্রথম আমেরিকান-আফ্রিকান নারী মে জেমিসন।
৬ সহযাত্রীর সঙ্গে এনডেভার মহাকাশযানে পৃথিবীকে ১২৬ বার প্রদক্ষিণ করেছিলেন মে। মহাকাশে কাটিয়েছিলেন ১৯০ ঘণ্টা। তবে নারী-পুরুষ মিলিয়েও কৃষ্ণাঙ্গ নভশ্চরের সংখ্যা নেহাতই কম।
এর আগে ১৯৯৫ সালে প্রথম মহাকাশে পা রাখেন কৃষ্ণাঙ্গ পুরুষ অভিযাত্রী বার্নার্ড হ্যারিস জুনিয়র। ২০২০ সালের নভেম্বরে মহাকাশে যান ভিক্টর গ্লোভার জুনিয়র। তিনিই প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ, যিনি দীর্ঘসময়ের জন্য আইএসএসে থেকেছিলেন।
২০১৭ সালে নাসার পরীক্ষায় মহাকাশচারী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন জেসিকা। তার পর থেকে তার প্রশিক্ষণ চলছে। জেসিকার সঙ্গে ওই অভিযাত্রী দলে থাকবেন নাসার জেল লিন্ডগ্রেন ও রবার্ট হাইনস এবং ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির সামান্থা ক্রিস্টোফোরেট্টি।
ইলন মাস্কের স্পেসএক্স-এর ক্রু ড্রাগন মহাকাশযান তাঁদের পৌঁছে দেবে স্পেস স্টেশনে। এই নিয়ে পর্যায়ক্রমে ৪ বার মহাকাশে যাত্রীদের পৌঁছে দেবে যানটি। ফ্লরিডায় নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে ফ্যালকন ৯ রকেটে করে স্পেসএক্সের ক্যাপসুলে চেপে রওনা দেবেন চার জন। ৬ মাসের জন্য মহাকাশই হবে তাদের ঠিকানা।
উল্লেখ্য, ক্যালিফর্নিয়ার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জিওলজিক্যাল ও এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স নিয়ে স্নাতক হন জেসিকা। তার পরে ক্যালিফর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জিওলজিতে স্নাতকোত্তর। নাসার সঙ্গে তার যোগাযোগ দীর্ঘদিনের। এক সময়ে ইনটার্ন হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন নাসায়। পরবর্তী কালে নাসার এমস রিসার্চ সেন্টার এবং জেট প্রোপালসন ল্যাবে কাজ করেছেন তিনি।
ভোরের পাতা/অ