বাংলাদেশকে বিশ্বপরিমণ্ডলে অনন্য উচ্চতায় নিয়েছেন শেখ হাসিনা: ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ
প্রকাশ: শুক্রবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২১, ১০:৫৩ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
আজেকের আলোচনার বিষয়বস্তু হচ্ছে বিশ্বময় শেখ হাসিনার নেতৃত্ব। এটা আসলেই ১০০% সত্যি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিসিঞ্জারের মতে বাংলাদেশ ছিল একটি তলাবিহীন ঝুড়ি। তখন অনেকের ধারণা ছিল যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশ হয়ত আর কোনদিন নিজেদের পায়ে ভর করে মাথা তুলে দাঁড়াতেই পারবে না। ওইদিন শেষ যখন কিসিঞ্জার বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ির দেশ বলেছিল। কিন্তু বাংলাদেশের আজ সেই দুর্বিষহ অবস্থা নেই। যা একমাত্র সম্ভব হয়েছে জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৫২৮তম পর্বে শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক, জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদের (জানিপপ) চেয়ারম্যান ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন, ফিনল্যান্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, মোস্তফা আজাদ বাপ্পী, লন্ডন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক, বহির্বিশ্বে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য প্রতিষ্ঠাতা আফছার খান সাদেক। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য তনয়া জননেত্রী শেখ হাসিনার বিশ্ব নেতৃত্বের আসনে যে উত্তরণ হয়েছে আমরা আজকে সে বিষয়টি নিয়ে কিছু কথা বলতে চাচ্ছি। সর্বশেষ তার মুক্তকণ্ঠে আলোড়িত হয়েছে বিশ্ববাসী তার স্কটল্যান্ড, ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স সফরে। মেধা, যোগ্যতা, সততা আর দক্ষতায় শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়াই নয়, সমগ্র বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে পারেন। জলবাযু পরিবর্তন মোকাবিলার ক্ষেত্রে জাতিসংঘে অত্যন্ত সোচ্চার ভূমিকা পালন করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অপূরণীয় ক্ষতি ও চ্যালেঞ্জকে বিশ্ববাসীর সামনে যথার্থভাবে তুলে ধরতে তিনি সদা সচেষ্ট থেকেছেন। তিনিই একজন নেতা, যিনি এ বিষয়টিকে বিশ্ববাসীর সামনে বারংবার তুলে ধরেছেন যে, পরিবেশ দূষণকারী না হয়েও স্বল্পোন্নত ও দ্বীপ-রাষ্ট্রসমূহ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সবচেয়ে বড় হুমকির মধ্যে রয়েছে। কেবল বাগাড়ম্বর বা উচ্চবাচ্য না করে এ বিষয়টি তিনি কর্মপরিকল্পনার মধ্যে গ্রহণ করেছেন এবং বিষয়টি নিয়ে কীভাবে বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগুলো যায় তা নিজে তদারক ও কাজ করে চলেছেন। একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে শেখ হাসিনার অবদান আজ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। ইতিমধ্যে তিনি শান্তি, গণতন্ত্র, স্বাস্থ্য ও শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস, তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার, দারিদ্র্য বিমোচন, উন্নয়ন এবং দেশে দেশে জাতিতে জাতিতে সৌভ্রাতৃত্ব ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার জন্য ভূষিত হয়েছেন অসংখ্য মর্যাদাপূর্ণ পদক, পুরস্কার আর স্বীকৃতিতে। ’৭৫ পরবর্তী বাঙালি জাতির যা কিছু মহৎ অর্জন তা শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই অর্জিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার জন্মদিন, গোটা বাঙালি জাতির জন্য একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন। করোনার মধ্যেও বাংলাদেশ তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে অনেক ভালো করেছে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের ‘এসডিজি অগ্রগতি পুরস্কার’ পেয়েছেন। দারিদ্র্য দূরীকরণ, পৃথিবীর সুরক্ষা এবং সবার জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ গ্রহণের সর্বজনীন আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশকে সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘এসডিজি অগ্রগতি পুরস্কার’ দিয়েছে জাতিসংঘের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সল্যুশনস নেটওয়ার্ক (এসডিএসএন)। করোনা মহামারির সময়েও এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করে অগ্রগতি সাধন বেশ কঠিন ব্যাপার ছিল। কঠিন এ বাস্তবতায় ও চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলাদেশ থেমে থাকেনি, এগিয়ে গেছে। বিশ্ববাসীর সামনে উজ্জ্বল হয়েছে দেশের সম্মান ও ভাবমূর্তি। এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বগুণে।