শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে সুইজারল্যান্ড বানানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন: তাজুল ইসলাম   ইংরেজি নববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা   করোনায় মৃত্যু কমেছে, শনাক্ত বেড়েছে    আরও ৩ জনের ওমিক্রন শনাক্ত   শপথ নিলেন নতুন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী   বাস সরাতে গিয়ে দুই মৃত্যু: সেই পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা   আন্দোলনের বিকল্প নেই, ফয়সালা রাজপথেই হবে: ফখরুল   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিশ্ব
#বাংলাদেশকে বিশ্বপরিমণ্ডলে অনন্য উচ্চতায় নিয়েছেন শেখ হাসিনা: ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ। #শেখ হাসিনার নেতৃত্ব আজ সারা বিশ্বে প্রশংসিত: ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন। #শেখ হাসিনার পদচারণা আজ বিশ্বের নেতৃত্বের আসনে: মোস্তফা আজাদ বাপ্পী। #বিশ্ব আজ শেখ হাসিনার সুবিশাল নেতৃত্বের দিকে তাকিয়ে আছে: আফছার খান সাদেক।
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: শুক্রবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২১, ১০:৫৩ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

আজেকের আলোচনার বিষয়বস্তু হচ্ছে বিশ্বময় শেখ হাসিনার নেতৃত্ব। এটা আসলেই ১০০% সত্যি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিসিঞ্জারের মতে বাংলাদেশ ছিল একটি তলাবিহীন ঝুড়ি। তখন অনেকের ধারণা ছিল যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশ হয়ত আর কোনদিন নিজেদের পায়ে ভর করে মাথা তুলে দাঁড়াতেই পারবে না। ওইদিন শেষ যখন কিসিঞ্জার বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ির দেশ বলেছিল। কিন্তু বাংলাদেশের আজ সেই দুর্বিষহ অবস্থা নেই। যা একমাত্র সম্ভব হয়েছে জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।

দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৫২৮তম পর্বে শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক, জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদের (জানিপপ) চেয়ারম্যান ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন, ফিনল্যান্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, মোস্তফা আজাদ বাপ্পী, লন্ডন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক, বহির্বিশ্বে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য প্রতিষ্ঠাতা আফছার খান সাদেক। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।

ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য তনয়া জননেত্রী শেখ হাসিনার বিশ্ব নেতৃত্বের আসনে যে উত্তরণ হয়েছে আমরা আজকে সে বিষয়টি নিয়ে কিছু কথা বলতে চাচ্ছি। সর্বশেষ তার মুক্তকণ্ঠে আলোড়িত হয়েছে বিশ্ববাসী তার স্কটল্যান্ড, ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স সফরে। মেধা, যোগ্যতা, সততা আর দক্ষতায় শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়াই নয়, সমগ্র বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে পারেন। জলবাযু পরিবর্তন মোকাবিলার ক্ষেত্রে জাতিসংঘে অত্যন্ত সোচ্চার ভূমিকা পালন করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অপূরণীয় ক্ষতি ও চ্যালেঞ্জকে বিশ্ববাসীর সামনে যথার্থভাবে তুলে ধরতে তিনি সদা সচেষ্ট থেকেছেন। তিনিই একজন নেতা, যিনি এ বিষয়টিকে বিশ্ববাসীর সামনে বারংবার তুলে ধরেছেন যে, পরিবেশ দূষণকারী না হয়েও স্বল্পোন্নত ও দ্বীপ-রাষ্ট্রসমূহ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সবচেয়ে বড় হুমকির মধ্যে রয়েছে। কেবল বাগাড়ম্বর বা উচ্চবাচ্য না করে এ বিষয়টি তিনি কর্মপরিকল্পনার মধ্যে গ্রহণ করেছেন এবং বিষয়টি নিয়ে কীভাবে বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগুলো যায় তা নিজে তদারক ও কাজ করে চলেছেন। একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে শেখ হাসিনার অবদান আজ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। ইতিমধ্যে তিনি শান্তি, গণতন্ত্র, স্বাস্থ্য ও শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস, তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার, দারিদ্র্য বিমোচন, উন্নয়ন এবং দেশে দেশে জাতিতে জাতিতে সৌভ্রাতৃত্ব ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার জন্য ভূষিত হয়েছেন অসংখ্য মর্যাদাপূর্ণ পদক, পুরস্কার আর স্বীকৃতিতে। ’৭৫ পরবর্তী বাঙালি জাতির যা কিছু মহৎ অর্জন তা শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই অর্জিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার জন্মদিন, গোটা বাঙালি জাতির জন্য একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন। করোনার মধ্যেও বাংলাদেশ তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে অনেক ভালো করেছে।  সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের ‘এসডিজি অগ্রগতি পুরস্কার’ পেয়েছেন। দারিদ্র্য দূরীকরণ, পৃথিবীর সুরক্ষা এবং সবার জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ গ্রহণের সর্বজনীন আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশকে সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘এসডিজি অগ্রগতি পুরস্কার’ দিয়েছে জাতিসংঘের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সল্যুশনস নেটওয়ার্ক (এসডিএসএন)। করোনা মহামারির সময়েও এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করে অগ্রগতি সাধন বেশ কঠিন ব্যাপার ছিল। কঠিন এ বাস্তবতায় ও চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলাদেশ থেমে থাকেনি, এগিয়ে গেছে। বিশ্ববাসীর সামনে উজ্জ্বল হয়েছে দেশের সম্মান ও ভাবমূর্তি। এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বগুণে। 

অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন বলেন, আজকের খুব চমৎকার বিষয় নিয়ে ভোরের পাতা সংলাপের আলোচ্য বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে। বিশ্বময় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে, এটা আসলেই একেবারেই যথার্থ। শেখ হাসিনার শাসনামলে আর্থ-সামাজিক খাতে দেশ অভূতপূর্ব অগ্রগতি অর্জন করে। ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে শেখ হাসিনা সরকারের উল্লেখযোগ্য সাফল্যগুলো ছিল- ভারতের সঙ্গে ৩০ বছর মেয়াদী গঙ্গা নদীর পানি চুক্তি, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি, যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণ এবং খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন। এছাড়া, তিনি কৃষকদের জন্য কল্যাণমূলক বিভিন্ন কর্মসূচি এবং ভূমিহীন, দুস্থ মানুষের জন্য সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচি চালু করেন। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- দুস্থ মহিলা ও বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, বয়স্কদের জন্য শান্তি নিবাস, আশ্রয়হীনদের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প এবং একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প। ২০০৯-২০১৩ মেয়াদে শেখ হাসিনা সরকারের উল্লেখযোগ্য অর্জনগুলোর মধ্যে রয়েছে- বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা ১৩,২৬০ মেগাওয়াটে উন্নীতকরণ, গড়ে ৬ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন, ৫ কোটি মানুষকে মধ্যবিত্তে উন্নীতকরণ, ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সামুদ্রিক জলসীমা বিরোধের নিষ্পত্তি, প্রতিটি ইউনিয়নে ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন, মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত সকল শিক্ষার্থীর মধ্যে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ, কৃষকদের জন্য কৃষিকার্ড এবং ১০ টাকায় ব্যাংক হিসাব খোলা। ২০১৪-২০১৮ মেয়াদে উল্লেখযোগ্য সাফল্যগুলোর মধ্যে রয়েছে- বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীতকরণ, ভারতের পার্লামেন্ট কর্তৃক স্থল সীমানা চুক্তির অনুমোদন এবং দুই দেশ কর্তৃক অনুসমর্থন (এর ফলে দুই দেশের মধ্যে ৬৮ বছরের সীমানা বিরোধের অবসান), মাথাপিছু আয় ১,৬০২ মার্কিন ডলারে উন্নীতকরণ, দারিদ্র্যের হার ২২.৪ শতাংশে হ্রাস, ৩২ বিলিয়ন ডলারের ওপর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, পদ্মা সেতুর বাস্তবায়ন শুরু এবং মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ। চতুর্থ মেয়াদে এ পর্যন্ত অর্জিত উল্লেখযোগ্য অর্জনগুলোর মধ্যে রয়েছে- বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে অন্তর্ভুক্তিকরণ, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ সমাপ্তির পথে নেয়া এবং ঢাকায় মেট্রোরেলের পরীক্ষামূলক চলাচল শুরু। রাজধানী ঢাকার সঙ্গে বেশ কয়েকটি জেলা শহরের সংযোগ সড়ক চার লেনে উন্নীত করা হয়েছে। রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুতকেন্দ্র নির্মাণ, চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণ, মাতারবাড়ি বহুমুখী প্রকল্পসহ বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের বাস্তবায়নের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। সারা দেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মিত হচ্ছে। সবগুলো বিভাগে আইসিটি পার্ক নির্মাণের কাজ চলছে। বর্তমানে মাথাপিছু আয় ২২২৭ মার্কিন ডলার এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করেছে।  সামাজিক কর্মকাণ্ড, শান্তি ও স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থা সম্মানিত করেছে ইতোমধ্যে।

মোস্তফা আজাদ বাপ্পী বলেন, শেখ হাসিনা পদচারণা আজ বিশ্বের নেতৃত্বের আসনে। তাকে নিয়ে আমি যা বলবো সেটা নিয়ে আমার পূর্ববর্তী বক্তাগণ প্রায় সবই আমার মনে কথাগুলো বলে ফেলেছেন। তবুও আমি কিছু কথা বলতে চাই। ত্যাগে, দয়ায়, ক্ষমায় ও সাহসের মহিমায় শেখ হাসিনা আজ বিশ্বের বিস্ময়। শেখ হাসিনা শুধু আওয়ামী লীগেরই নেতা নন, তিনি আজ দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে স্টেটসম্যান বা রাষ্ট্রনায়কে পরিণত হয়েছেন। তাঁর নেতৃত্বেই মুক্তিযুদ্ধের অসমাপ্ত কর্তব্য সম্পন্ন হতে চলেছে। তাঁর সফল নেতৃত্ব ও আন্তর্জাতিক সুখ্যাতির ফলেই তিনি উন্নত দেশগুলোয় ভ্যাকসিন যুদ্ধের মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণ বিভিন্ন ধরনের ভ্যাকসিন দেশে এনেছেন এবং আরও আনার ব্যবস্থা করছেন। এতে তিনি সারাবিশ্বকে অবাক করেও দিয়েছেন। আর তাই আমরা দেখি কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় সফলভাবে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তিন শীর্ষ অনুপ্রেরণাদারী নেতাদের মধ্যে অন্যতম একজন নির্বাচিত হয়েছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থায় নেতৃত্ব দিচ্ছে। জাতিসংঘের সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের যে অবিস্মরণীয় অগ্রগতি, তা মূলত সম্ভব হয়েছে দেশটির নেতা শেখ হাসিনার উন্নয়ন চিন্তা এবং জনগণের মুক্তির লক্ষ্যে তার অবিচল প্রতিজ্ঞার কারণেই। সম্পদের ব্যাপক সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও কেবল নেতৃত্বের বিচক্ষণতা, দৃঢ়তা এবং সঠিক দিক-নির্দেশনার কারণেই বাংলাদেশ এই লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হয়েছে। এককালে যে দেশকে বলা হয়েছিল ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’, যার ‘সফল হওয়ার কোনো সম্ভাবনাই’ বিশ্ব মোড়লেরা দেখেনি, সেই দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আজ সাড়া বিশ্বে আলোড়িত করেছে। বৈশ্বিক মহামারি করোনায় শেখ হাসিনার নেওয়া পদক্ষেপ জাতিসংঘ, বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাময়িকী ফোর্বসসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশংসিত হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা থেকে শুরু করে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে নানামুখী পদক্ষেপ নেন। করোনার বিস্তার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হন। একই সঙ্গে দরিদ্র মানুষকে ত্রাণ সহযোগিতার পাশাপাশি জীবিকা ও অর্থনীতি বাঁচাতে নিয়েছেন কার্যকরী পদক্ষেপ। দেশের অর্থনৈতিক গতিশীলতা ধরে রাখতে কৃষি ও শিল্পসহ অর্থনৈতিক খাতগুলোতে সময়োপযোগী প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেন। যার কারণে অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে বলে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সফল প্রধানমন্ত্রী। চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্বে অর্থনীতির প্রতিটি সূচকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে একটি রোল মডেল হিসেবে পরিচিত করেছেন।

আফছার খান সাদেক বলেন,  আজেকের আলোচনার বিষয়বস্তু হচ্ছে বিশ্বময় শেখ হাসিনার নেতৃত্ব। এটা আসলেই ১০০% সত্যি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিসিঞ্জারের মতে বাংলাদেশ ছিল একটি তলাবিহীন ঝুড়ি। তখন অনেকের ধারণা ছিল যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশ হয়ত আর কোনদিন নিজেদের পায়ে ভর করে মাথা তুলে দাঁড়াতেই পারবে না। আস্তে আস্তে একদিন অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হয়ে পৃথিবী রাজনৈতিক মানচিত্র থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাবে। ওইদিন শেষ যখন কিসিঞ্জার বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ির দেশ বলেছিল। কিন্তু বাংলাদেশের আজ সেই দুর্বিষহ অবস্থা নেই। বাংলাদেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক দৃশ্যপট আজ পাল্টে গেছে। বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে একটি দ্রুত বিকাশমান ও উদীয়মান অর্থনীতির দেশ হাটি হাটি পা পা করে বাংলাদেশ আজ অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধনের ক্ষেত্রে অনেক পথ অতিক্রম করে সামনের দিকে এগিয়ে গেছে।  কিসিঞ্জার যদি দেখতে পারতেন যে আমাদের দেশ আজ ঝুড়িপূর্ণ দেশ হয়ে গিয়েছে। আমরা বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে বঙ্গবন্ধু তনয়া জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। ক্রান্তিলঘ্নে বাঙালি জাতিকে সঠিক নেতৃত্ব দিয়ে যিনি দেশকে গৌরবের আসনে সমাসীন করেছেন সেই টানা তিনবারের রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। তার অসাম্প্রদায়িক, উদার, প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক ও বিজ্ঞানমনস্ক দৃষ্টিভঙ্গি তাঁকে দিয়েছে এক আধুনিক ও অগ্রসর রাষ্ট্রনায়কের স্বীকৃতি।  দেশ থেকে শেখ হাসিনার প্রচেষ্টায় যেমন মঙ্গা দূর হয়েছে, তেমনই সৃষ্টি হয়েছে কর্মসংস্থান। তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর উদ্যোক্তা তৈরিতেও তার রয়েছে নানা উদ্যোগ। তাঁর ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন বাস্তব। যার ফল আমরা এই বৈশ্বিক মহামারি করোনাকালে বেশ ভালোভাবে ভোগ করছি। এখন ঘরে বসেই অনলাইন প্লাটফর্মে অফিসিয়াল কাজও সম্পন্ন হচ্ছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে ও সুদক্ষ পরিচালনায় বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে অবস্থান করছে। মানুষের সকল প্রকার মৌলিক চাহিদাগুলো আজ পূরণের পথে। তাছাড়াও জাতীয় উৎপাদন, মাথাপিছু আয়, খাদ্য উৎপাদন, কৃষি উৎপাদন, আমদানি-রফতানি বাণিজ্য, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ ব্যবস্থা, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবকাঠামো তৈরী প্রতিটি ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ অবিশ্বাস্য পরিমাণে উন্নতি লাভ করেছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বে পরিচালিত বাংলাদেশ আজ সারাবিশ্বের উন্নয়নের রোল মডেল। বিশ্বের মানুষ আজ বাংলাদেশের উন্নয়নের গতির দিকে অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে আছে। কোন কোন দেশ আজ বাংলাদেশের উন্নয়নের কৌশল গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। হয়তবা আগামীতে তারা শেখ হাসিনার এই উন্নয়ন কৌশলকে তাদের দেশেও প্রয়োগ করতে পারে। উন্নয়নের যাদুকরী নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ হাতের ছোঁয়ায় ও নেতৃত্বে বাংলাদেশ কেবল অভ্যন্তরীণভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে না, বহির্বিশ্বেও আজ বাংলাদেশের সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে এবং বাংলাদেশ আন্তর্জাতিকভাবে অনেক মর্যাদার আসনে অবস্থান করছে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও কূটনীতির ক্ষেত্রে তিনি বাংলাদেশকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]