প্রকাশ: শুক্রবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২১, ৮:৩৮ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম গত ছয় সপ্তাহের মধ্যে এখন সবচেয়ে কম। দাম কমার জন্য ধন্যবাদ দেওয়া হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনকে।
সিএনএন অনলাইনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলেছে, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম মাস দেড়েক ধরে বাড়ছিল। এতে উৎপাদনকারীরা বিপুল মুনাফা করছিল। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল ভোক্তারা। এ নিয়ে সৃষ্ট অস্থিরতার পর এখন জ্বালানি তেলের দাম কমছে।
ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ও ব্রেন্ট অপরিশোধিত তেলের দর গত ছয় সপ্তাহের মধ্যে এখন সবচেয়ে কম। জ্বালানি তেলের দর ব্যারেলপ্রতি ৮০ ডলারের নিচে নেমে গেছে।
বাইডেন প্রশাসন তার মিত্রদের কাছে অনুরোধ করেছিল যাতে দেশগুলো তাদের সংরক্ষিত (রিজার্ভ) তেল বাজারে ছেড়ে দেয়। আর সবাইকে অবাক করে দিয়ে চীন এ কাজটিই করেছে। যুক্তরাষ্ট্র-চীন অনেক দিন ধরেই বাণিজ্যযুদ্ধে লিপ্ত। কোভিড-১৯–এর সংক্রমণ ও ট্রাম্পের পরাজয় সেই বাণিজ্যযুদ্ধ কিছুটা কমিয়ে রাখলেও একেবারেই শেষ হয়ে যায়নি। কিন্তু চীন যে যুক্তরাষ্ট্রের এই অনুরোধ রাখবে তা অনেকেই আশা করেননি। তবে চীনের এই সিদ্ধান্ত বাজারকে প্রভাবিত করেছে, কমেছে তেলের দর।
রিস্ট্যাড এনার্জির তেল বাজারপ্রধান বিজোরনার বলেন, আগামী মাসে ২০ থেকে ৩০ মিলিয়ন ব্যারেল তেল অনলাইনে আসার ব্যাপারে আশা করছেন বিনিয়োগকারীরা। এটা যুক্তরাষ্ট্র ও চীন থেকে আসতে পারে। কিংবা আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থার বৃহত্তর সমন্বিত পদক্ষেপের মাধ্যমেও আসতে পারে।
জ্বালানিবিষয়ক পরামর্শ প্রতিষ্ঠান রিস্ট্যাড এনার্জির তেল বাজারপ্রধান বিজোরনার টনহাউজেনের ভাষ্য, এখন জ্বালানি তেলের দাম কমার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। এই দুই দেশের সংরক্ষিত (রিজার্ভ) তেল বাজারে ছেড়ে দেওয়ায় দাম কমাতে সহায়তা করছে।
তবে রিজার্ভ থেকে তেল ছাড়ের বিষয়টি দীর্ঘসময়ের ক্ষেত্রে সামগ্রিক চিত্র পরিবর্তন করবে না বলে মনে করেন বিজোরনার।
ভোরের পাতা/কে