করোনাভাইরাস মহামারি প্রতিরোধে দেশে দেশে চলছে টিকাদান। কিন্ত এখনো স্বস্তিতে নেই বিশ্ববাসী। এরই মধ্যে করোনায় বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৫ কোটি ৬৩ লাখ এবং মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫১ লাখ ৪৭ হাজার। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২৩ কোটি ১৫ লাখের বেশি মানুষ।
করোনা সংক্রমণের তথ্য সরবরাহ করা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) সকাল পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৫ কোটি ৬৩ লাখ ৪৮ হাজার ৮৯৭ জন। মারা গেছেন ৫১ লাখ ৪৭ হাজার ১৬৩ জন। সুস্থ হয়েছেন ২৩ কোটি ১৫ লাখ ৫০ হাজার ৭৬৯ জন।
করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুতে এখনও বিশ্বে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্তের সংখ্যা ৪ কোটি ৮৩ লাখ ৯৮ হাজার ৪৫৫ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৭ লাখ ৮৯ হাজার ১৫৫ জন। সুস্থ হয়েছেন ৩ কোটি ৮৩ লাখ ৩০ হাজার ৭৩ জন।
সংক্রমণের ওই তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। দেশটিতে এখন পর্যন্ত শনাক্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৪৪ লাখ ৮৯ হাজার ৬২৩ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৪ লাখ ৬৫ হাজার ৮২ জন। সুস্থ হয়েছেন ৩ কোটি ৩৮ লাখ ৯৭ হাজার ৯২১ জন।
সংক্রমণে তৃতীয় কিন্তু মৃত্যুতে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে শনাক্তের সংখ্যা ২ কোটি ১৯ লাখ ৮৯ হাজার ৯৬২ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৬ লাখ ১২ হাজার ১৭৭ জন। সুস্থ হয়েছেন ২ কোটি ১২ লাখ ৬ হাজার ৯৯৭ জন।
সংক্রমণের তালিকায় এর পরের স্থানগুলোতে রয়েছে যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, তুরস্ক, ফ্রান্স, ইরান, আর্জেন্টিনা, জার্মানি, স্পেন, কলম্বিয়া, ইতালি, ইন্দোনেশিয়া, মেক্সিকো।
সংক্রমণের তালিকায় ৩০ নম্বরে রয়েছে বাংলাদেশ। এখন পর্যন্ত দেশে মোট করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৫ লাখ ৭৩ হাজার ৪৫৮ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ২৭ হাজার ৯৩৯ জন। সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৩৭ হাজার ৫১৮ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। চীনে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। তবে তার ঘোষণা আসে ১১ জানুয়ারি। এরপর ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে বিভিন্ন দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ে। করোনার প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ জানুয়ারি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।